36 তখন ইলীশায় গেহসিকে ডেকে বললেন, “শূনেমীয় স্ত্রীলোকটিকে ডাক।” গেহসি তা-ই করল। স্ত্রীলোকটি আসলে পর ইলীশায় বললেন, “আপনার ছেলেকে নিয়ে যান।”
37 স্ত্রীলোকটি ঘরে ঢুকে তাঁর পায়ে পড়লেন এবং মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন। তারপর তাঁর ছেলেকে নিয়ে তিনি বের হয়ে গেলেন।
38 ইলীশায় গিল্গলে ফিরে গেলেন। তখন সেই এলাকায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। একদিন একদল শিষ্য-নবী তাঁর সংগে বসে ছিলেন। তখন তিনি তাঁর চাকরকে বললেন, “বড় হাঁড়িটা চড়িয়ে এদের জন্য কিছু তরকারি রান্না কর।”
39 তখন শিষ্য-নবীদের মধ্যে একজন শাক তুলে আনবার জন্য ক্ষেতে গিয়ে বুনো শসার লতা দেখতে পেলেন। তিনি তা থেকে কিছু ফল তুলে কোঁচড় ভরলেন। তারপর ফিরে এসে সেগুলো কেটে তিনি তরকারির হাঁড়িতে দিলেন, কিন্তু সেগুলো কি তা কারও জানা ছিল না।
40 সেই তরকারি লোকদের খেতে দেওয়ার জন্য ঢালা হল, কিন্তু তা খেতে আরম্ভ করে তাঁরা চিৎকার করে বলে উঠলেন, “হে ঈশ্বরের লোক, হাঁড়ির মধ্যে মৃত্যু!” তাঁরা তা খেতে পারলেন না।
41 তখন ইলীশায় বললেন, “কিছু ময়দা নিয়ে এস।” তিনি সেই ময়দা হাঁড়ির মধ্যে দিয়ে বললেন, “এবার ওটা লোকদের খেতে দাও।” এতে ক্ষতি করবার মত কিছু হাঁড়ির মধ্যে রইল না।
42 বাল্-শালিশা থেকে একজন লোক ঈশ্বরের লোকের জন্য প্রথমে কাটা ফসল থেকে কুড়িটা যবের রুটি সেঁকে নিয়ে আসল, আর তার সংগে নিয়ে আসল কিছু নতুন ফসল। ইলীশায় বললেন, “এগুলো লোকদের খেতে দাও।”