1-2 তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে জীবন-জলের নদী দেখালেন। সেটা স্ফটিকের মত চক্চকে ছিল এবং ঈশ্বরের ও মেষ-শিশুর সিংহাসনের কাছ থেকে বের হয়ে শহরের রাস্তার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। সেই নদীর দু’ধারেই জীবন-গাছ ছিল। তাতে বারো রকমের ফল ধরে। প্রত্যেক মাসেই তাতে ফল ধরে এবং তার পাতায় সমস্ত জাতির লোক সুস্থ হয়। অভিশাপ আর থাকবে না।
3 ঈশ্বরের ও মেষ-শিশুর সিংহাসন সেই শহরে থাকবে এবং তাঁর দাসেরা তাঁর সেবা করবে।
4 তারা তাঁর মুখ দেখতে পাবে এবং তাঁর নাম তাদের কপালে লেখা থাকবে।
5 রাত আর থাকবে না এবং তাদের আর বাতির আলো বা সূর্যের আলোর দরকার হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বর নিজেই তাদের আলো হবেন। তারা চিরকাল ধরে রাজত্ব করবে।
6 পরে সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “এই সব কথা বিশ্বাসযোগ্য ও সত্য। প্রভু ঈশ্বর, যিনি নবীদের মধ্য দিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি তাঁর দূতকে পাঠিয়ে দিয়েছেন, যেন কিছুকালের মধ্যে যা অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে তা সেই স্বর্গদূত তাঁর দাসদের দেখাতে পারেন।”
7 যীশু বলছেন, “দেখ, আমি শীঘ্রই আসছি। এই বইয়ের সমস্ত কথা, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য যে পালন করে সে ধন্য।”
8 আমি যোহন এই সব শুনেছি ও দেখেছি। সব শুনবার ও দেখবার পরে, যে স্বর্গদূত আমাকে এই সব দেখালেন আমি তাঁকে প্রণাম করবার জন্য তাঁর পায়ের উপর উবুড় হলাম।