9 পরে তারা একে অন্যকে বলল, “আমাদের কাজটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না। আজ একটা সুখবরের দিন আর আমরা কাউকে কিছু না বলে চুপ করে আছি। আমরা যদি সকাল পর্যন্ত দেরি করি তবে শাস্তি আমাদের উপর নেমে আসবে। চল, আমরা এখনই গিয়ে রাজবাড়ীতে খবরটা জানাই।”
10 কাজেই তারা গিয়ে শহর-দরজার পাহারাদারদের ডেকে বলল, “আমরা সিরীয়দের ছাউনিতে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা লোকও নেই, কারও শব্দও নেই; কেবল ঘোড়া আর গাধাগুলো বাঁধা রয়েছে আর তাম্বুগুলো যেমন ছিল তেমনি রেখেই তারা চলে গেছে।”
11 দরজার পাহারাদারেরা খবরটা জানিয়ে দিল আর তা রাজবাড়ীর ভিতরেও জানানো হল।
12 বাদশাহ্ রাতের বেলায় উঠে তাঁর কর্মচারীদের বললেন, “সিরীয়রা কি করেছে তা আমি তোমাদের বলছি। আমরা যে না খেয়ে আছি তা তারা জানে; তাই তারা ছাউনি ছেড়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে লুকিয়ে রয়েছে। তারা ভাবছে আমরা এতে নিশ্চয়ই বের হয়ে আসব আর তখন তারা আমাদের জীবিত অবস্থায় ধরবে এবং শহরে ঢুকবে।”
13 তাঁর একজন কর্মচারী বলল, “শহরে যে কয়টা ঘোড়া বাকী আছে তার মধ্য থেকে পাঁচটা ঘোড়া নিয়ে কয়েকজন লোক বের হয়ে যাক। এখানকার সব বনি-ইসরাইলদের মত তারা তো নিশ্চয়ই মারা যাবে, কাজেই কি হয়েছে তা জানবার জন্য আমরা তাদের পাঠিয়ে দিই।”
14 তখন তারা ঘোড়া সুদ্ধ দু’টা রথ বেছে নিল, আর বাদশাহ্ সিরীয় সৈন্যদের তালাশে তাদের পাঠিয়ে দিলেন। রথ-চালকদের তিনি এই হুকুম দিলেন, “তোমরা গিয়ে জেনে এস কি হয়েছে।”
15 তারা জর্ডান নদী পর্যন্ত তাদের তালাশ করল আর দেখল সিরীয়রা তাড়াহুড়া করে পালিয়ে যাবার সময় সমস্ত রাস্তায় তাদের কাপড়-চোপড় ও সমস্ত জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে গেছে। যাদের পাঠানো হয়েছিল তারা ফিরে গিয়ে বাদশাহ্কে সব খবর জানাল।