17 পরে শহরের লোকেরা বের হয়ে এসে যখন যোয়াবের সংগে যুদ্ধ করতে লাগল তখন দাউদের সৈন্যদলের কিছু লোক মারা পড়ল আর সেই সংগে হিট্টীয় উরিয়াও মারা গেল।
18-20 যোয়াব লোক পাঠিয়ে যুদ্ধের সমস্ত খবর দাউদকে দিলেন। যাকে দিয়ে খবর পাঠানো হচ্ছিল যোয়াব তাকে বললেন, “যুদ্ধের এই খবর বাদশাহ্র কাছে দিলে পর বাদশাহ্ হয়তো রাগে জ্বলে উঠে তোমাকে বলবেন, ‘যুদ্ধ করবার জন্য কেন তোমরা শহরের এত কাছে গিয়েছিলে? দেয়ালের উপর থেকে তারা যে তীর ছুঁড়বে তা কি তোমরা জানতে না?
21 কে যিরূব্বেশতের ছেলে আবিমালেককে হত্যা করেছিল? একজন স্ত্রীলোক দেয়ালের উপর থেকে জাঁতার উপরের পাথরটা তার উপর ফেলেছিল আর তাতেই তিনি তেবেষে মারা গিয়েছিলেন। কেন তোমরা দেয়ালের এত কাছে গিয়েছিলে?’ যদি তিনি সেই কথা তোমাকে বলেন তবে তুমি তাঁকে বলবে যে, তাঁর গোলাম হিট্টীয় উরিয়া মারা গেছে।”
22 সেই লোকটি তখন রওনা হয়ে গেল এবং দাউদের কাছে পৌঁছে যোয়াব তাকে যা বলতে পাঠিয়েছিলেন তা বলল।
23 দাউদকে সেই লোকটি বলল, “লোকগুলো প্রথমে আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে খোলা মাঠে বের হয়ে এসেছিল, কিন্তু আমরা তাদের তাড়া করতে করতে শহরের সদর দরজা পর্যন্ত গিয়েছিলাম।
24 এতে ধনুকধারীরা দেয়ালের উপর থেকে আপনার গোলামদের উপর তীর ছুঁড়তে লাগল। তাতে বাদশাহ্র কিছু লোক মারা পড়েছে। আপনার গোলাম হিট্টীয় উরিয়াও মারা পড়েছে।”
25 দাউদ তাকে বললেন, “তুমি যোয়াবকে বলবে সে যেন এতে মন খারাপ না করে, কারণ যুদ্ধের সময় তলোয়ার কাউকেই বাদ দেয় না। শহরটার বিরুদ্ধে আরও ভীষণভাবে যুদ্ধ করে সে যেন সেটা একেবারে ধ্বংস করে ফেলে। এই কথা তুমি যোয়াবকে বলে তাকে উৎসাহ দেবে।”