4 আবিমালেক কিন্তু তখনও সারার কাছে যান নি; তাই জবাবে তিনি বললেন, “হে মালিক, নির্দোষ হলেও কি একটা জাতিকে আপনি ধ্বংস করে ফেলবেন?
5 সেই লোকটি তো নিজেই আমাকে বলেছে যে, সে তার বোন, আর সেই স্ত্রীলোকটিও বলেছে যে, সে তার ভাই। আমি সরল মনে এই কাজ করেছি; তা ছাড়া বাইরেও আমার ব্যবহারের মধ্যে কোন দোষ ছিল না।”
6 আল্লাহ্ স্বপ্নের মধ্যেই তাঁকে বললেন, “হ্যাঁ, আমি জানি তুমি সরল মনেই এই কাজ করেছ। আমি তোমাকে সেইজন্যই তাকে ছুঁতে দিই নি এবং আমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ কাজ থেকে তোমাকে ঠেকিয়ে রেখেছি।
7 এখন তুমি তাকে তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দাও। লোকটি একজন নবী। সে তোমার জন্য মুনাজাত করবে, আর তাতে তোমার প্রাণ রক্ষা পাবে। কিন্তু যদি তাকে ফিরিয়ে না দাও, তবে মনে রেখো, তুমি ও তোমার লোকেরা একজনও মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে না।”
8 এতে আবিমালেক খুব ভোরে উঠে তাঁর অধীনে যারা কাজ করত তাদের সকলকে ডেকে সব কিছু জানালেন। এই কথা শুনে তাঁর লোকেরা খুব ভয় পেল।
9 তখন আবিমালেক ইব্রাহিমকে ডেকে বললেন, “আপনি আমাদের সংগে এ কি রকম ব্যবহার করলেন? আমি আপনার কাছে কি দোষ করেছি যে, আপনি আমাকে এবং আমার রাজ্যকে এত বড় গুনাহের দায়ে ফেললেন? এই রকম ব্যবহার করা আপনার মোটেই উচিত হয় নি।”
10 আবিমালেক আরও বললেন, “আপনি কি মনে করে এই কাজ করলেন?”