16 এই সপ্তম সপ্তার বিশ্রামবারের পরের দিন, অর্থাৎ দোলন-উৎসর্গের পর পঞ্চাশ দিনের দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা নতুন গম উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবে।
17 তোমরা বাড়ী থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে তোমাদের প্রথমে তোলা ফসলের কিছু অংশ নিয়ে আসবে। সেই দোলন-উৎসর্গের জিনিস হবে সাড়ে তিন কেজি মিহি ময়দার তৈরী খামি দেওয়া দু’টা রুটি।
18 এই রুটির সংগে সাতটা এক বছরের খুঁতহীন ভেড়ার বাচ্চা, একটা ষাঁড় এবং দু’টা ভেড়া আনতে হবে। এই পশুগুলো দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে, আর তার সংগে থাকবে তার সংগেকার নিয়মিত শস্য-উৎসর্গ এবং ঢালন-উৎসর্গ। এগুলো সব আগুনে-করা উৎসর্গ, যার গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।
19 তারপর তোমরা পাপ-উৎসর্গ হিসাবে একটা ছাগল এবং যোগাযোগ-উৎসর্গ হিসাবে এক বছরের দু’টা ভেড়ার বাচ্চা উৎসর্গ করবে।
20 পুরোহিত সদাপ্রভুর সামনে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে সেই দু’টা ভেড়ার বাচ্চা এবং প্রথমে তোলা ফসলের তৈরী রুটি নিয়ে দোলাবে। এগুলো সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করা পবিত্র জিনিস যা পুরোহিতের পাওনা।
21 সেই দিন তোমরা একটা পবিত্র মিলন-সভা ঘোষণা করবে। সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
22 “তোমরা যখন তোমাদের জমির ফসল কাটবে তখন জমির কিনারার ফসলগুলো তোমরা কাটবে না এবং পড়ে থাকা শস্য কুড়িয়ে নেবে না। সেগুলো গরীব এবং দেশে বাস করা অন্য জাতির লোকদের জন্য ফেলে রাখতে হবে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”