1 “নিজের দেখা বা শোনা কোন ব্যাপারের বিচারের সময়ে সাক্ষ্য দেবার সুযোগ পেয়েও যদি কেউ চুপ করে থাকে তবে সেটা তার পক্ষে পাপ হবে এবং সেই অন্যায়ের জন্য তাকে দায়ী করা হবে।
2 “যদি কেউ না জেনে কোন অশুচি কিছু ছুঁয়ে ফেলে তবে সে নিজেও অশুচি হবে এবং দোষী হবে, সেটা কোন অশুচি বুনো বা পোষা প্রাণীর মৃতদেহই হোক কিম্বা যে কোন ছোটখাটো প্রাণীর মৃতদেহই হোক।
3 “যা মানুষকে অশুচি করে মানুষের দেহের এমন অশুচি কোন কিছু যদি কেউ না জেনে ছুঁয়ে ফেলে তবে তা জানবার পরে সে দোষী হবে।
4 “অসাবধান হয়ে শপথ করে ফেলতে পারে এমন কোন বিষয়ে কেউ যদি চিন্তা না করে ভাল-মন্দ কিছু করবার শপথ করে বসে তবে সেটা না জেনে করলেও তা জানবার পরে সে দোষী হবে।
5 “এই সব অন্যায়ের কোন একটা করে যদি কেউ দোষী হয় তবে যে অন্যায় সে করেছে তা তাকে স্বীকার করতে হবে।
6 তখন সেই অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে তাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পাপ-উৎসর্গের জন্য একটা বাচ্চা-ভেড়ী কিম্বা বাচ্চা-ছাগী নিয়ে আসতে হবে, আর পুরোহিত তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে।
7 “যদি সে বাচ্চা-ভেড়ী আনতে না পারে, তবে তার সেই অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে। তার মধ্যে একটা হবে পাপ-উৎসর্গের জন্য আর অন্যটা পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য।
8 সে তা এনে পুরোহিতের হাতে দেবে আর পুরোহিত প্রথমে পাপ-উৎসর্গের জন্য আনা পাখীটা উৎসর্গ করবে। সে সেটা দুই টুকরা না করে মাথাটা গলা থেকে মুচ্ড়ে আলগা করে নেবে।
9 তারপর সে পাখীটা থেকে কিছু রক্ত নিয়ে বেদীর চারপাশের গায়ে ছিটিয়ে দেবে, আর বাকী রক্ত চেপে বের করে বেদীর গোড়ায় ফেলবে; এটা একটা পাপ-উৎসর্গ।
10 অন্য পাখীটা দিয়ে নিয়ম অনুসারে পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করে পুরোহিত তার সেই অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে; তাতে তাকে ক্ষমা করা হবে।
11 “যদি সে দু’টা ঘুঘু বা দু’টা কবুতর আনতে না পারে, তবে পাপ-উৎসর্গের জন্য তাকে এক কেজি আটশো গ্রাম মিহি ময়দা আনতে হবে। এটা পাপ-উৎসর্গ বলে সে তার উপর তেলও ঢালবে না বা লোবানও রাখবে না।
12 সেই ময়দা সে পুরোহিতের কাছে নিয়ে যাবে। পুরো উৎসর্গের বদলে পুরোহিত তা থেকে এক মুঠো ময়দা তুলে নিয়ে বেদীতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের জিনিসের উপর পুড়িয়ে ফেলবে; এটা একটা পাপ-উৎসর্গ।
13 সে যে অন্যায় করেছে পুরোহিত এইভাবে তা ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে আর তাতে তাকে ক্ষমা করা হবে। এই উৎসর্গের জিনিসের বাদবাকী অংশ শস্য-উৎসর্গের জিনিসের মতই পুরোহিতের পাওনা হবে।”
14 এর পর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
15 “মনে অন্যায়ের ইচ্ছা না রেখে যদি কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করে রাখা জিনিসের ব্যাপারে তাঁর আদেশ অমান্য করে, তবে তার অন্যায়ের জরিমানা হিসাবে সদাপ্রভুর কাছে তাকে একটা খুঁতহীন পুরুষ ভেড়া আনতে হবে। এটা একটা দোষ-উৎসর্গ। তা ছাড়া ধর্মীয় শেখেল অনুসারে যতটা রূপা তুমি ভেড়াটার দাম ঠিক করে দেবে সেই পরিমাণ রূপা তাকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে।
16 সেই পবিত্র জিনিসের ব্যাপারে সে অন্যায় করেছে বলে তাকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া ভেড়াটার দামের সংগে আরও পাঁচ ভাগের এক ভাগ দাম তাকে পুরোহিতের হাতে দিতে হবে। পুরোহিত সেই ভেড়াটা নিয়ে দোষ-উৎসর্গ হিসাবে তা উৎসর্গ করে তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে আর তাতে তাকে ক্ষমা করা হবে।
17 “যদি কেউ না জেনে সদাপ্রভুর নিষেধ করা কোন কিছু করে অন্যায় করে ফেলে তবে সে দোষী হবে এবং সেইজন্য তাকে দায়ী হতে হবে।
18 তখন সে তার দোষ-উৎসর্গের জন্য তোমার ঠিক করে দেওয়া মূল্যের একটা খুঁতহীন ভেড়া এনে পুরোহিতের হাতে দেবে। সে না জেনে যে অন্যায় করেছে তার জন্য পুরোহিত তার অন্যায় ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে; তাতে তাকে ক্ষমা করা হবে।
19 এটা একটা দোষ-উৎসর্গ, কারণ সে সদাপ্রভুর কাছে দোষী।”