1 লেবি-গোষ্ঠীর বংশকর্তারা ইমাম ইলিয়াসর, নূনের ছেলে ইউসা এবং বনি-ইসরাইলদের অন্যান্য গোষ্ঠীর বংশ-কর্তাদের কাছে গেলেন।
2 তাঁরা কেনান দেশের শীলোতে তাঁদের বললেন, “আমাদের বাস করবার জন্য গ্রাম এবং আমাদের পশুপাল চরাবার জন্য গ্রামের আশেপাশের মাঠ দেবার কথা মাবুদ মূসার মধ্য দিয়ে আপনাদের হুকুম দিয়েছিলেন।”
3 কাজেই মাবুদের হুকুম অনুসারে বনি-ইসরাইলরা তাদের নিজেদের সম্পত্তি থেকে কতগুলো গ্রাম ও পশু চরাবার মাঠ লেবীয়দের দিল।
4 গুলিবাঁট করলে পর প্রথমে কহাতীয় বংশের নাম উঠল। এই লেবীয়দের মধ্যে যারা ইমাম হারুনের বংশধর তারা এহুদা, শিমিয়োন ও বিন্যামীন-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে তেরটা গ্রাম ও শহর পেল।
5 কহাতের বংশের বাকী লোকদের আফরাহীম-গোষ্ঠীর পরিবারগুলোর জায়গা থেকে ও দান-গোষ্ঠীর এবং মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের জায়গা থেকে দশটা গ্রাম ও শহর দেওয়া হল।
6 গুলিবাঁট করে ইষাখর-গোষ্ঠীর পরিবারগুলোর জায়গা থেকে, আশের ও নপ্তালি-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে এবং বাশন দেশের বাসিন্দা মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের জায়গা থেকে গের্শোনের বংশধরদের তেরটা গ্রাম ও শহর দেওয়া হল।
7 রূবেণ, গাদ ও সবূলূন-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে মরারির বংশধরদের বিভিন্ন পরিবার বারোটা গ্রাম ও শহর পেল।
8 মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারে বনি-ইসরাইলরা গুলিবাঁট করে এই সব গ্রাম ও শহর এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ লেবীয়দের দিল।
9-10 লেবীয়দের কহাতীয় পরিবারগুলোর মধ্যে গুলিবাঁট করলে পর হারুনের বংশধরদের নাম উঠল। এতে এহুদা এবং শিমিয়োন-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে কতগুলো গ্রাম ও শহর তাদের দেওয়া হল।
11 এহুদা-গোষ্ঠীর পাহাড়ী এলাকার কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ হেবরন ও তার চারপাশের পশু চরাবার মাঠ তাদের দেওয়া হল। অর্ব ছিল অনাকীয়দের পূর্বপুরুষ।
12 তবে হেবরনের চারপাশের জায়গা ও গ্রামগুলো আগেই যিফুন্নির ছেলে কালুতকে সম্পত্তি হিসাবে দেওয়া হয়েছিল।
13-16 কাজেই হেবরন, লিব্না, যত্তীয়, ইষ্টমোয়, হোলোন, দবীর, ঐন, যুটা ও বৈৎ-শেমশ এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ ইমাম হারুনের বংশধরদের দেওয়া হল। এর মধ্যে হেবরন ছিল খুনের আসামীর আশ্রয়-শহর। এই দুই গোষ্ঠীর জায়গা থেকে এই নয়টা গ্রাম ও শহর তাদের দেওয়া হল।
17-18 এছাড়া বিন্যামীন-গোষ্ঠীর জায়গা থেকেও গিবিয়োন, গেবা, অনাথোৎ ও অল্মোন নামে চারটা গ্রাম ও শহর এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ তাদের দেওয়া হল।
19 ইমামেরা, অর্থাৎ হারুনের বংশধরেরা মোট তেরটা গ্রাম ও শহর এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ পেল।
20 লেবীয়দের কহাতীয় বংশের বাকী পরিবারগুলোকে আফরাহীম-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে কতগুলো গ্রাম ও শহর দেওয়া হল।
21-22 আফরাহীম-গোষ্ঠীর পাহাড়ী এলাকার মধ্যেকার শিখিম, গেষর, কিবসয়িম ও বৈৎ-হোরোণ নামে চারটা গ্রাম ও শহর এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ তাদের দেওয়া হল। এর মধ্যে শিখিম ছিল খুনের আসামীর আশ্রয়-শহর।
23-24 এছাড়া দান-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে ইল্তকী, গিব্বথোন, অয়ালোন ও গাৎ-রিম্মোণ নামে চারটা গ্রাম ও শহর এবং সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ তাদের দেওয়া হল।
25 মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের জায়গা থেকে তানক ও গাৎ-রিম্মোণ নামে দু’টা গ্রাম ও সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ তাদের দেওয়া হল।
26 পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ এই দশটা গ্রাম ও শহর কহাতীয় বংশের বাকী পরিবারগুলোকে দেওয়া হল।
27 মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের জায়গা থেকে বাশন দেশের গোলান ও বীষ্টরা নামে দু’টা গ্রাম ও সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ লেবি-গোষ্ঠীর গের্শোনীয়দের দেওয়া হল। এর মধ্যে গোলান ছিল খুনের আসামীর আশ্রয়-শহর।
28-29 এছাড়া ইষাখর-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ কিশিয়োন, দাবরৎ, যর্মূৎ ও ঐন্-গন্নীম নামে চারটা গ্রামও গের্শোনীয়দের দেওয়া হল।
30-31 আশের-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ তাদের দেওয়া হল মিশাল, অব্দোন, হিল্কৎ ও রহোব নামে চারটা গ্রাম।
32 নপ্তালি-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে তাদের দেওয়া হল গালীলের কেদশ, হম্মোৎ-দোর ও কর্তন নামে তিনটা গ্রাম ও সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ। এর মধ্যে কেদশ ছিল খুনের আসামীর আশ্রয়-শহর।
33 পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ এই তেরটা গ্রাম ও শহর গের্শোনীয়দের বিভিন্ন পরিবারকে দেওয়া হল।
34-35 লেবীয়দের বাকী বংশটিকে, অর্থাৎ মরারীয়দের দেওয়া হল সবূলূন-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে যকিয়াম, কার্তা, দিম্না ও নহলোল নামে চারটা গ্রাম ও সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ।
36-37 এছাড়া রূবেণ-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ তাদের দেওয়া হল বেৎসর, যহস, কদেমোৎ ও মেফাৎ নামে চারটা গ্রাম।
38-39 গাদ-গোষ্ঠীর জায়গা থেকে তাদের দেওয়া হল গিলিয়দের রামোৎ, মহনয়িম, হিষ্বোন ও যাসের নামে চারটা গ্রাম ও সেগুলোর সংগেকার পশু চরাবার মাঠ। এর মধ্যে রামোৎ ছিল খুনের আসামীর আশ্রয়-শহর।
40 মোট বারোটা গ্রাম লেবীয়দের বাকী বংশটিকে, অর্থাৎ মরারীয়দের বিভিন্ন পরিবারকে দেওয়া হল।
41 বনি-ইসরাইলদের অধিকার করা জায়গার মধ্যে পশু চরাবার মাঠ সুদ্ধ মোট আটচল্লিশটা গ্রাম ও শহর ছিল লেবীয়দের।
42 এগুলোর প্রত্যেকটার চারপাশে পশু চরাবার মাঠ ছিল।
43 মাবুদ বনি-ইসরাইলদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে সব জায়গা দেবার কসম খেয়েছিলেন তার সবগুলোই তিনি তাদের দিয়েছিলেন। বনি-ইসরাইলরা সেই সব দেশ দখল করে নিয়ে সেখানে বাস করতে লাগল।
44 তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে মাবুদের কসম অনুসারে তিনি চারদিকের সব যুদ্ধ থেকে তাদের বিশ্রাম দিলেন। কোন শত্রুই তাদের সামনে দাঁড়াতে পারে নি। মাবুদ তাদের সমস্ত শত্রুদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
45 মাবুদ বনি-ইসরাইলদের উন্নতি করবার যে সব ওয়াদা করেছিলেন তার একটাও অপূর্ণ থাকে নি, সবগুলোই পূর্ণ হয়েছিল।