40 তারপর তাঁর লাঠিখানা তিনি হাতে নিলেন এবং ছোট্ট পাহাড়ী নদীর মধ্য থেকে পাঁচটা মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে তাঁর চামড়ার থলির মধ্যে রাখলেন। এই রকম থলি রাখালেরা ব্যবহার করত। তারপর তাঁর ফিংগাটা নিয়ে তিনি সেই ফিলিস্তিনীর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন,
41 আর সেই ফিলিস্তিনীও দাউদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তার ঢাল বহনকারী ঢাল নিয়ে তার সামনে সামনে আসছিল।
42 সেই ফিলিস্তিনী দাউদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে তাকে তুচ্ছ করল, কারণ দাউদের বয়স অল্প ছিল। তাঁর গায়ের রং লাল্চে এবং চেহারা সুন্দর ছিল।
43 জালুত দাউদকে বলল, “আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস্?” সে তার দেব-দেবীর নাম করে দাউদকে বদদোয়া দিতে লাগল।
44 সে দাউদকে আরও বলল, “এগিয়ে আয়; আমি তোর গায়ের গোশ্ত আকাশের পাখী আর বুনো পশুদের খেতে দিই।”
45 তখন দাউদ সেই ফিলিস্তিনীকে বললেন, “তুমি আমার কাছে আসছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি তোমার কাছে যাচ্ছি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, ইসরাইলীয় সৈন্যদলের মাবুদের নাম নিয়ে, যাঁকে তুমি টিটকারি দিয়েছ।
46 মাবুদ আজকের দিনেই তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব আর তোমার মাথা কেটে নেব। আজকেই আমি ফিলিস্তিনী সৈন্যদের লাশ আকাশের পাখী ও দুনিয়ার পশুদের খেতে দেব। তা দেখে দুনিয়ার সবাই জানতে পারবে যে, বনি-ইসরাইলদের পক্ষে আল্লাহ্ বলতে একজন আছেন।