45 তখন দাউদ সেই ফিলিস্তিনীকে বললেন, “তুমি আমার কাছে আসছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি তোমার কাছে যাচ্ছি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, ইসরাইলীয় সৈন্যদলের মাবুদের নাম নিয়ে, যাঁকে তুমি টিটকারি দিয়েছ।
46 মাবুদ আজকের দিনেই তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব আর তোমার মাথা কেটে নেব। আজকেই আমি ফিলিস্তিনী সৈন্যদের লাশ আকাশের পাখী ও দুনিয়ার পশুদের খেতে দেব। তা দেখে দুনিয়ার সবাই জানতে পারবে যে, বনি-ইসরাইলদের পক্ষে আল্লাহ্ বলতে একজন আছেন।
47 যে সমস্ত লোক আজ এখানে রয়েছে তারাও জানতে পারবে যে, মাবুদ কোন তলোয়ার বা বর্শা দিয়ে উদ্ধার করেন না, কারণ এই যুদ্ধ মাবুদের; আর তিনি আমাদের হাতে তোমাদের তুলে দেবেন।”
48 ঐ ফিলিস্তিনী যখন দাউদকে আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে আসতে লাগল তখন দাউদও তার কাছে যাবার জন্য বিপক্ষের সৈন্যদলের দিকে দৌড়ে গেলেন,
49 আর তাঁর থলি থেকে একটা পাথর নিয়ে ফিংগাতে বসিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে সেই ফিলিস্তিনীর কপালে সেটা ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটা তার কপালে বসে গেলে সে মুখ থুব্ড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
50-51 তখন দাউদ দৌড়ে গিয়ে সেই ফিলিস্তিনীর পাশে দাঁড়ালেন এবং তারই তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করে নিয়ে তাকে হত্যা করলেন এবং তার মাথাটা কেটে নিলেন। এইভাবে দাউদ শুধু একটা ফিংগা আর একটা পাথর দিয়ে সেই ফিলিস্তিনীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কোন তলোয়ার না থাকলেও তিনি সেই ফিলিস্তিনীকে আঘাত করেছিলেন এবং তাকে হত্যা করেছিলেন।ফিলিস্তিনীরা যখন দেখল যে, তাদের প্রধান বীর মরে গেছে তখন তারা পালাতে শুরু করল।
52 তখন ইসরাইল আর এহুদার লোকেরা চিৎকার করে উঠল এবং গয় ও ইক্রোণের দরজা পর্যন্ত ফিলিস্তিনীদের তাড়া করে নিয়ে গেল। ফিলিস্তিনীদের আহত লোকেরা গাৎ ও ইক্রোণ পর্যন্ত শারয়িমের পথে পথে পড়ে রইল।