17 তালুত একদিন দাউদকে বললেন, “আমার বড় মেয়ে মেরবকে আমি তোমার সংগে বিয়ে দেব। তুমি কেবল আমার পক্ষে থেকে বীরের মত মাবুদের জন্য যুদ্ধ করবে।” কিন্তু তালুতের মনের কথাটা ছিল এই যে, তিনি দাউদের উপর হাত না উঠালেও দাউদ যেন ফিলিস্তিনীদের হাতে মারা পড়ে।
18 দাউদ তালুতকে বললেন, “আমিই বা কে আর আমার পরিবার ও ইসরাইলের মধ্যে আমার বাবার বংশই বা এমন কি যে, আমি বাদশাহ্র জামাই হতে পারি?”
19 কিন্তু দাউদের সংগে তালুতের মেয়ে মেরবের বিয়ের সময় উপস্থিত হলে দেখা গেল দাউদকে বাদ দিয়ে মহোলাৎ গ্রামের অদ্রীয়েলের সংগে মেরবের বিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে।
20 তবে তালুতের আর এক মেয়ে মীখল দাউদকে ভালবাসতেন। লোকেরা যখন সেই কথা তালুতকে জানাল তখন তালুত খুশীই হলেন।
21 তিনি মনে মনে বললেন, “আমি দাউদকে আমার মেয়ে দেব যাতে মেয়েটি তার কাছে একটা ফাঁদ হয় আর ফিলিস্তিনীরা তার বিরুদ্ধে ওঠে।” এই ভেবে তালুত দাউদকে বললেন, “আমার জামাই হবার জন্য এই তোমার দ্বিতীয় সুযোগ।”
22 তালুত তাঁর কর্মচারীদের এই হুকুম দিলেন, “তোমরা গোপনে দাউদের সংগে আলাপ করে তাকে এই কথা বল, ‘বাদশাহ্ আপনার উপর খুশী হয়েছেন, আর তাঁর কর্মচারীরা সবাই আপনাকে পছন্দ করে। কাজেই আপনি এবার বাদশাহ্র জামাই হন।’ ”
23 তারা এই সব কথা দাউদকে জানালে পর তিনি বললেন, “বাদশাহ্র জামাই হওয়াটা কি তোমরা একটা সামান্য ব্যাপার বলে মনে কর? আমি তো গরীব, একজন সামান্য লোক।”