1 দাউদ মনে মনে ভাবলেন, “এই তালুতের হাতেই আমাকে একদিন মারা পড়তে হবে, তাই ফিলিস্তিনীদের দেশে পালিয়ে যাওয়াই আমার পক্ষে সবচেয়ে ভাল হবে। তাহলে ইসরাইল দেশের মধ্যে তিনি আর আমাকে খুঁজে বেড়াবেন না, আর আমিও তাঁর হাত থেকে রক্ষা পাব।”
2 এই ভেবে দাউদ তাঁর সংগের ছ’শো লোক নিয়ে সেই জায়গা ছেড়ে মায়োকের ছেলে আখীশের কাছে গেলেন। আখীশ ছিলেন গাতের বাদশাহ্।
3 দাউদ ও তাঁর লোকেরা গাতে আখীশের কাছে বাস করতে লাগলেন। তাঁর লোকদের প্রত্যেকের সংগে ছিল তাদের পরিবার, আর দাউদের সংগে ছিলেন তাঁর দুই স্ত্রী, যিষ্রীয়েল গ্রামের অহীনোয়ম এবং কর্মিল গ্রামের অবীগল। অবীগল ছিলেন নাবলের বিধবা স্ত্রী।
4 তালুত যখন জানতে পারলেন যে, দাউদ গাতে পালিয়ে গেছেন তখন তিনি তাঁর খোঁজ করা বন্ধ করে দিলেন।
5 একদিন দাউদ আখীশকে বললেন, “আপনি যদি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তবে এই দেশের কোন একটা গ্রামে আমাকে কিছু জায়গা দিন যাতে আমি সেখানে গিয়ে বাস করতে পারি। আপনার এই গোলাম কেন আপনার সংগে রাজধানীতে বাস করবে?”
6 তখন আখীশ সিক্লগ শহরটা দাউদকে দান করলেন। সেই থেকে আজও সিক্লগ এহুদার বাদশাহ্দের অধিকারে আছে।
7 দাউদ ফিলিস্তিনীদের দেশে এক বছর চার মাস ছিলেন।
8 সেই সময়ের মধ্যে তিনি তাঁর লোকদের নিয়ে গশূরীয়, গির্ষীয় ও আমালেকীয়দের দেশে লুটপাট করতে গিয়েছিলেন। এই সব জাতির লোকেরা অনেক কাল আগে শূর থেকে মিসর পর্যন্ত সমস্ত এলাকাটায় বাস করত।
9-10 দাউদ যখন কোন এলাকা আক্রমণ করতেন তখন সেখানকার স্ত্রী-পুরুষ সবাইকে হত্যা করতেন এবং তাদের ভেড়া, গরু, গাধা, উট, আর কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতেন। যখন তিনি আখীশের কাছে ফিরে আসতেন তখন আখীশ জিজ্ঞাসা করতেন, “আজ কোথায় লুটপাট করতে গিয়েছিলে?” জবাবে দাউদ বলতেন যে, তিনি নেগেভে এহুদা এলাকায় কিংবা যিরহমেলীয়দের এলাকায় কিংবা কেনীয়দের এলাকায় গিয়েছিলেন।
11 দাউদ কোন স্ত্রীলোক কিংবা পুরুষকে গাতে নিয়ে আসবার জন্য বাঁচিয়ে রাখতেন না, কারণ তিনি মনে করতেন, তারা তাদের বিষয় সব কথা জানিয়ে দিয়ে বলবে যে, দাউদ এই কাজ করেছে। ফিলিস্তিনীদের দেশে আসবার পর থেকে দাউদ বরাবরই এই রকম করতেন,
12 কিন্তু আখীশ দাউদকে বিশ্বাস করতেন আর ভাবতেন দাউদ এই সব কাজ করে তাঁর নিজের জাতি বনি-ইসরাইলদের কাছে নিজেকে খুব ঘৃণার পাত্র করে তুলেছে আর তাতে সে চিরকাল তাঁর গোলাম হয়ে থাকবে।