1 এর মধ্যে ফিলিস্তিনীরা বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল আর বনি-ইসরাইলরা তাদের সামনে থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে গিলবোয় পাহাড়ে ফিলিস্তিনীদের হাতে মারা পড়তে লাগল।
2 ফিলিস্তিনীরা তালুত ও তাঁর ছেলেদের পিছনে তাড়া করে গিয়ে তাঁর ছেলে যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কীশূয়কে হত্যা করল।
3 তারপর তালুতের বিরুদ্ধে আরও ভীষণভাবে যুদ্ধ চলতে লাগল। ধনুকধারী সৈন্যেরা তাঁকে দেখতে পেয়ে আঘাত করল।
4 তালুত তখন তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “তোমার তলোয়ার বের করে আমার শরীরটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দাও। তা না হলে ঐ খৎনা-না-করানো লোকেরা এসে আমার শরীরটা এফোঁড়-ওফোঁড় করবে এবং আমাকে অপমান করবে।”কিন্তু তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি তা করতে রাজী হল না, কারণ সে খুব ভয় পেয়েছিল। তখন তালুত তাঁর তলোয়ার নিয়ে নিজেই তার উপরে পড়লেন।
5 তালুত মারা গেছেন দেখে তাঁর অস্ত্রবহনকারীও নিজের তলোয়ারের উপর পড়ে তালুতের সংগে মারা গেল।
6 এইভাবে সেই দিন তালুত, তাঁর তিন ছেলে, তাঁর অস্ত্র বহনকারী এবং তাঁর সংগের লোকেরা একসংগে মারা গেলেন।
7 যে সব ইসরাইলীয় উপত্যকার অন্য দিকে ছিল আর যারা জর্ডান নদীর ওপারে ছিল তারা যখন দেখল যে, ইসরাইলীয় সৈন্যেরা পালিয়ে গেছে এবং তালুত ও তাঁর ছেলেরা মারা পড়েছেন তখন তারাও তাদের শহর ও গ্রামগুলো ছেড়ে পালিয়ে গেল, আর ফিলিস্তিনীরা এসে সেগুলো দখল করে নিল।
8 পরের দিন ফিলিস্তিনীরা মৃত লোকদের সব কিছু লুট করতে এসে দেখল গিলবোয় পাহাড়ের উপরে তালুত ও তাঁর তিন ছেলের লাশ পড়ে আছে।
9 তারা তালুতের মাথা কেটে ফেলল এবং তাঁর সাজ-পোশাক ও অস্ত্রশস্ত্র খুলে নিল। এই খবর তাদের সমস্ত দেব-মন্দিরে এবং লোকদের কাছে ঘোষণা করবার জন্য তারা ফিলিস্তিনীদের দেশের সব জায়গায় সেগুলো পাঠিয়ে দিল।
10 তারপর তারা তালুতের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অষ্টারোৎ-দেবীর মন্দিরে রাখল আর তাঁর শরীরটা বৈৎ-শান শহরের দেয়ালে টাংগিয়ে দিল।
11 ফিলিস্তিনীরা তালুতের প্রতি যা করেছে যাবেশ-গিলিয়দের লোকেরা তা শুনতে পেল।
12 তখন সেখানকার বীর সৈন্যেরা সারারাত হেঁটে বৈৎ-শানে গিয়ে তালুত ও তাঁর ছেলেদের লাশগুলো দেয়াল থেকে নামিয়ে নিল এবং যাবেশে নিয়ে গিয়ে তা পুড়িয়ে দিল।
13 তারপর তারা তাঁদের হাড়গুলো নিয়ে সেখানকার একটা ঝাউ গাছের তলায় দাফন করল এবং সাত দিন রোজা রেখে কাটাল।