10 শুকনা নদীর দক্ষিণে ছিল আফরাহীম-গোষ্ঠীর জায়গা আর উত্তরে ছিল মানশা-গোষ্ঠীর জায়গা। মানশা-গোষ্ঠীর পশ্চিম সীমানা ছিল ভূমধ্যসাগর, উত্তর দিকে ছিল আশের-গোষ্ঠীর সীমানা এবং পূর্ব দিকে ছিল ইষাখর-গোষ্ঠীর সীমানা।
11 ইষাখর ও আশের-গোষ্ঠীর সীমানার মধ্যেকার বৈৎ-শান, যিব্লিয়ম ও সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মানশা-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দোর, ঐন্-দোর, তানক ও মগিদ্দোর লোক সুদ্ধ এই সব শহর এবং সেগুলোর আশেপাশের সব গ্রাম মানশা-গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। শেষ তিনটা শহর ও তাদের সংগেকার গ্রামগুলো ছিল পাহাড়ী এলাকায়।
12 মানশা-গোষ্ঠীর লোকেরা কিন্তু ঐ সব শহর ও গ্রাম দখল করতে পারে নি, কারণ কেনানীয়রা স্থির করেছিল যে, তারা ঐ জায়গা ছেড়ে যাবে না।
13 তবে বনি-ইসরাইলরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন তারা কেনানীয়দের তাদের গোলাম হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু দেশ থেকে তাদের সবাইকে তারা তাড়িয়ে দিল না।
14 ইউসুফ-গোষ্ঠীর লোকেরা গিয়ে ইউসাকে বলল, “সম্পত্তি হিসাবে কেন আপনি আমাদের মাত্র একটা ভাগ দিয়েছেন? মাবুদের দোয়ায় আমাদের লোকসংখ্যা অনেক।”
15 জবাবে ইউসা বললেন, “লোকসংখ্যা যদি তোমাদের এতই বেশী এবং আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকাতে যদি তোমাদের না কুলায় তবে পরীষীয় ও রফায়ীয়দের দেশের বন্তজংগল কেটে ফেলে নিজেদের জন্য জমি তৈরী করে নাও।”
16 ইউসুফ-গোষ্ঠীর লোকেরা জবাবে বলল, “পাহাড়ী এলাকার জায়গায় আমাদের কুলায় না এবং যে সব কেনানীয়রা সমভূমির বৈৎ-শান ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বাস করে তাদের সকলেরই লোহার রথ আছে।”