2 “তুমি বনি-ইসরাইলদের বল, ‘মূসার মধ্য দিয়ে আমি তোমাকে যে নির্দেশ দিয়েছি সেইমতই তারা যেন কতগুলো আশ্রয়-শহর ঠিক করে নেয়।
3 যদি কেউ হঠাৎ করে কিংবা খুন করবার ইচ্ছা মনে না রেখে কাউকে হত্যা করে তাহলে সে সেখানে পালিয়ে যেতে পারবে এবং রক্তের শোধ যার নেবার কথা তার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
4 এই সব আশ্রয়-শহরের কোন একটার কাছে পৌঁছে শহরের সদর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সেখানকার বৃদ্ধ নেতাদের কাছে সে নিজের সম্বন্ধে সব কথা খুলে বলবে। তারপর তারা তাকে তাদের শহরে ঢুকতে দেবে এবং তার থাকবার জন্য একটা জায়গা দেবে।
5 রক্তের শোধ যার নেবার কথা সে যদি তার পিছনে তাড়া করে আসে তবে খুনের দায়ে পড়া লোকটিকে তারা তার হাতে ছেড়ে দেবে না, কারণ সেই লোককে হত্যা করবার পিছনে আগে থেকে তার মনে কোন ইচ্ছা বা হিংসা ছিল না।
6 বিচার-সভায় যতদিন না তার বিচার হয় এবং সেই সময়কার মহা-ইমামের যতদিন না মৃত্যু হয় ততদিন পর্যন্ত তাকে সেই আশ্রয়-শহরে থাকতে হবে। এর পর যেখান থেকে সে পালিয়ে এসেছিল সেখানে তার নিজের বাড়ীতে ফিরে যেতে পারবে।’ ”
7 সেইজন্য বনি-ইসরাইলরা আশ্রয়-শহর হিসাবে নপ্তালি-গোষ্ঠীর ভাগের পাহাড়ী এলাকার গালীলের কেদশ, আফরাহীম-গোষ্ঠীর ভাগের পাহাড়ী এলাকার শিখিম এবং এহুদা-গোষ্ঠীর ভাগের পাহাড়ী এলাকার কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ হেবরন আলাদা করে রাখল।
8 জেরিকোর উল্টাদিকে জর্ডানের পূর্ব দিকে তারা রূবেণ-গোষ্ঠীর ভাগের সমভূমির মরুভূমির মধ্যে বেৎসর, গাদ-গোষ্ঠীর ভাগের গিলিয়দের রামোৎ এবং মানশা-গোষ্ঠীর ভাগের বাশনের গোলান আশ্রয়-শহর হিসাবে ঠিক করল।