7 সমস্ত পানীয় নানা রকমের সোনার পাত্রে দেওয়া হচ্ছিল। বাদশাহ্র মন বড় ছিল বলে রাজবাড়ীতে আংগুর-রস ছিল পরিমাণে প্রচুর।
8 বাদশাহ্র হুকুমে দাওয়াতী প্রত্যেকজনকে নিজের ইচ্ছামত তা খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কারণ প্রত্যেকে যেমন চায় বাদশাহ্ সেইভাবে পরিবেশন করবার জন্য রাজবাড়ীর সব চাকরদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
9 বাদশাহ্ জারেক্সেসের রাজবাড়ীতে রাণী বষ্টীও মহিলাদের জন্য একটা মেজবানী দিলেন।
10-11 সপ্তম দিনে বাদশাহ্ জারেক্সেস আংগুর-রস খেয়ে খুব খুশী হয়ে উঠলেন এবং মহূমন, বিস্থা, হর্বোণা, বিগ্থা, অবগথ, সেথর ও কর্কস নামে তাঁর সাতজন সেবাকারীকে হুকুম দিলেন যেন রাণী বষ্টীকে রাজতাজ পরিয়ে তাঁর সামনে আনা হয়। রাণী দেখতে সুন্দরী ছিলেন বলে বাদশাহ্ লোকদের ও উঁচু পদের কর্মচারীদের সামনে তাঁর সৌন্দর্য দেখাতে চেয়েছিলেন।
12 বাদশাহ্র সেবাকারীরা বাদশাহ্র হুকুম রাণীকে জানালে পর রাণী বষ্টী আসতে রাজী হলেন না। এতে বাদশাহ্ ভীষণ রেগে আগুন হয়ে গেলেন।
13 আইন ও বিচার সম্বন্ধে দক্ষ লোকদের সংগে বাদশাহ্র পরামর্শ করবার নিয়ম ছিল বলে তিনি সেই পরামর্শদাতাদের সংগে এই বিষয় নিয়ে কথা বললেন।
14 সেই সব পরামর্শদাতাদের মধ্যে কর্শনা, শেথর, অদ্মাথা, তর্শীশ, মেরস, মর্সনা ও মমূখনের উপরে বাদশাহ্ বেশী ভরসা করতেন। বাদশাহ্র সামনে পারস্য ও মিডিয়া দেশের এই সাতজন উঁচু পদের কর্মচারীদের উপস্থিত হবার অধিকার ছিল এবং রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বড় স্থান ছিল তাঁদের।