11 “বাদশাহ্র সব কর্মচারীরা এবং বাদশাহ্র অধীন সব বিভাগের লোকেরা জানে যে, কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোক বাদশাহ্র ডাক না পেয়ে যদি ভিতরের দরবারে তাঁর কাছে যায় তবে তার জন্য মাত্র একটা আইনই আছে- সেটা হল তার মৃত্যু। তবে যে লোকের প্রতি বাদশাহ্ সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দেন কেবল তার প্রাণই বাঁচে। কিন্তু গত ত্রিশ দিনের মধ্যে বাদশাহ্র কাছে যাবার জন্য আমাকে ডাকা হয় নি।”
12 ইষ্টেরের সব কথা মর্দখয়কে জানানো হল।
13 মর্দখয় ইষ্টেরকে এই কথা বলে পাঠালেন, “এই কথা মনে কোরো না যে, বাদশাহ্র ঘরে আছ বলে সমস্ত ইহুদীদের মধ্যে কেবল একা তুমিই রক্ষা পাবে।
14 কিন্তু এই সময় যদি তুমি চুপ করে থাক তবে অন্য দিক থেকে ইহুদীরা সাহায্য ও উদ্ধার পাবে, কিন্তু তুমি তো মরবেই আর তোমার বাবার বংশও শেষ হয়ে যাবে। কে জানে হয়তো এই রকম সময়ের জন্যই তুমি রাণীর পদ পেয়েছ।”
15 তখন ইষ্টের মর্দখয়কে এই জবাব পাঠিয়ে দিলেন,
16 “আপনি গিয়ে সুসা শহরে থাকা সমস্ত ইহুদীদের একত্র করুন এবং আমার জন্য সকলে রোজা রাখুন। আপনারা তিন দিন ধরে রাতে কি দিনে কোন কিছু খাওয়া-দাওয়া করবেন না। আপনারা যেমন রোজা রাখবেন তেমনি আমি ও আমার বাঁদীরা রোজা রাখব। তারপর যদিও তা আইনের বিরুদ্ধে হয় তবুও আমি বাদশাহ্র কাছে যাব। তাতে যদি আমাকে মরতে হয় আমি মরব।”
17 এতে মর্দখয় গিয়ে ইষ্টেরের সব নির্দেশ মত কাজ করলেন।