8 মহারাজ যদি আমাকে দয়ার চোখে দেখেন ও আমার অনুরোধ রাখতে চান এবং আমার ইচ্ছা পূরণ করতে চান তবে আগামী কাল আমি যে মেজবানী প্রস্তুত করব তাতে যেন মহারাজ ও হামান আসেন। তখন আমি মহারাজের প্রশ্নের জবাব দেব।”
9 সেই দিন হামান খুশী হয়ে আনন্দিত মনে বাইরে গেল। কিন্তু সে যখন রাজবাড়ীর দরজায় মর্দখয়কে দেখতে পেল, আর দেখল যে, মর্দখয় তাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন না কিংবা আর কোন সম্মানও দেখালেন না তখন মর্দখয়ের উপর তার খুব রাগ হল।
10 কিন্তু তবুও হামান নিজেকে দমন করে বাড়ী চলে গেল।বাড়ী গিয়ে সে তার বন্ধু-বান্ধব ও স্ত্রী সেরশকে ডেকে আনাল।
11 তারপর সে তাদের কাছে তার ধন-সম্পদের কথা, তার ছেলেদের সংখ্যার কথা, যে সব উপায়ে বাদশাহ্ তাকে সম্মান দেখিয়েছেন তার কথা এবং কেমন করে তাকে অন্যান্য উঁচু পদের লোকদের ও কর্মকর্তাদের চেয়ে উপরে উঠিয়েছেন সেই সব কথা গর্ব করে বলতে লাগল।
12 হামান বলল, “কেবল তা-ই নয় রাণী ইষ্টের যে মেজবানী দিয়েছিলেন তাতে আমি ছাড়া আর কাউকেই বাদশাহ্র সংগে দাওয়াত করা হয় নি। আবার তিনি কালকেও বাদশাহ্র সংগে আমাকে দাওয়াত করেছেন।
13 কিন্তু যখনই ঐ ইহুদী মর্দখয়কে আমি রাজবাড়ীর দরজায় বসে থাকতে দেখি তখন এই সবেতেও আমার শান্তি লাগে না।”
14 তখন তার স্ত্রী সেরশ ও তার সব বন্ধু-বান্ধব তাকে বলল, “তুমি পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ তৈরী করাও এবং সকালে বাদশাহ্র অনুমতি নিয়ে মর্দখয়কে তার উপর ফাঁসি দেবার ব্যবস্থা কর। তারপর খুশী মনে বাদশাহ্র সংগে ভোজে যাও।” এই কথা হামানের ভাল লাগল এবং সে সেই ফাঁসিকাঠ তৈরী করাল।