2 সেখানে দেখা গেল বিগ্থন ও তেরশ নামে বাদশাহ্র দু’জন দারোয়ান যখন বাদশাহ্ জারেক্সেসকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করেছিল তখন মর্দখয় সেই খবর বাদশাহ্কে দিয়েছিলেন।
3 বাদশাহ্ জিজ্ঞাসা করলেন, “এর জন্য মর্দখয়কে কি রকম সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে?”তাঁর কর্মচারীরা জবাবে বলল, “কিছুই করা হয় নি।”
4 বাদশাহ্ বললেন, “দরবারে কে আছে?” মর্দখয়ের জন্য হামান যে ফাঁসিকাঠ তৈরী করেছিল তাতে মর্দখয়কে ফাঁসি দেবার কথা বাদশাহ্কে বলবার জন্য ঠিক সেই সময়েই সে রাজবাড়ীর বাইরের দরবারে এসেছিল।
5 বাদশাহ্র কর্মচারীরা বলল, “হামান দরবারে দাঁড়িয়ে আছেন।”বাদশাহ্ বললেন, “হামান ভিতরে আসুক।”
6 হামান ভিতরে আসলে পর বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাদশাহ্ যাকে সম্মান দেখাতে চান তার প্রতি কি করা উচিত?”তখন হামান মনে মনে ভাবল, তাকে ছাড়া আর কাকেই বা বাদশাহ্ সম্মান দেখাবেন?
7-8 সেইজন্য সে জবাবে বলল, “বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর জন্য মহারাজের একটা রাজপোশাক আনা হোক এবং যে ঘোড়ার মাথায় রাজকীয় তাজ পরানো থাকে বাদশাহ্র সেই ঘোড়াও আনা হোক।
9 তারপর সেই পোশাক ও ঘোড়া বাদশাহ্র উঁচু পদের কর্মচারীদের মধ্যে একজনের হাতে দেওয়া হোক। বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁকে সেই পোশাক পরানো হোক এবং তাঁকে সেই ঘোড়ায় চড়িয়ে নিয়ে শহর-চকে তাঁর আগে আগে এই কথা ঘোষণা করা হোক, ‘বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর প্রতি এই রকমই করা হবে।’ ”