6 হামান ভিতরে আসলে পর বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাদশাহ্ যাকে সম্মান দেখাতে চান তার প্রতি কি করা উচিত?”তখন হামান মনে মনে ভাবল, তাকে ছাড়া আর কাকেই বা বাদশাহ্ সম্মান দেখাবেন?
7-8 সেইজন্য সে জবাবে বলল, “বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর জন্য মহারাজের একটা রাজপোশাক আনা হোক এবং যে ঘোড়ার মাথায় রাজকীয় তাজ পরানো থাকে বাদশাহ্র সেই ঘোড়াও আনা হোক।
9 তারপর সেই পোশাক ও ঘোড়া বাদশাহ্র উঁচু পদের কর্মচারীদের মধ্যে একজনের হাতে দেওয়া হোক। বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁকে সেই পোশাক পরানো হোক এবং তাঁকে সেই ঘোড়ায় চড়িয়ে নিয়ে শহর-চকে তাঁর আগে আগে এই কথা ঘোষণা করা হোক, ‘বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর প্রতি এই রকমই করা হবে।’ ”
10 তখন বাদশাহ্ হামানকে হুকুম দিলেন, “তুমি এখনই গিয়ে রাজপোশাক এবং ঘোড়া নিয়ে যেমন বললে রাজবাড়ীর দরজায় বসা সেই ইহুদী মর্দখয়ের প্রতি তেমনই কর। তুমি যা যা বললে তার কোনটাই করতে যেন অবহেলা করা না হয়।”
11 কাজেই হামান রাজপোশাক ও ঘোড়া নিল এবং মর্দখয়কে রাজপোশাক পরিয়ে ঘোড়ায় চড়িয়ে নিয়ে শহর-চকে তাঁর আগে আগে এই কথা ঘোষণা করে বেড়াতে লাগল, “বাদশাহ্ যাঁকে সম্মান দেখাতে চান তাঁর প্রতি এই রকমই করা হবে।”
12 এর পর মর্দখয় আবার রাজবাড়ীর দরজায় গেলেন। কিন্তু হামান দুঃখে মাথা ঢেকে তাড়াতাড়ি করে ঘরে গেল।
13 তার প্রতি যা ঘটেছে তা সব তার স্ত্রী সেরশকে ও তার সব বন্ধুদের বলল।হামানের সেই পরামর্শদাতারা ও তার স্ত্রী সেরশ তাকে বলল, “যার সামনে তোমার এই পতন শুরু হয়েছে সেই মর্দখয় যদি ইহুদী বংশের লোক হয় তবে তার বিরুদ্ধে তুমি দাঁড়াতে পারবে না, নিশ্চয়ই তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।”