3 ইষ্টের বাদশাহ্র পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে আবার তাঁর কাছে মিনতি জানালেন। ইহুদীদের বিরুদ্ধে অগাগীয় হামান যে দুষ্ট পরিকল্পনা করেছিল তা বন্ধ করে দেবার জন্য তিনি বাদশাহ্কে অনুরোধ করলেন।
4 তখন বাদশাহ্ তাঁর সোনার রাজদণ্ডটা ইষ্টেরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন আর ইষ্টের উঠে বাদশাহ্র সামনে দাঁড়ালেন।
5 ইষ্টের বললেন, “মহারাজের যদি ভাল মনে হয়, তিনি যদি আমাকে দয়ার চোখে দেখেন এবং যদি ভাবেন যে, কাজটা করা ন্যায্য আর যদি তিনি আমার উপর খুশী হয়ে থাকেন, তবে মহারাজের সমস্ত বিভাগের ইহুদীদের ধ্বংস করবার জন্য ফন্দি এঁটে অগাগীয় হম্মাদাথার ছেলে হামান যে চিঠি লিখেছিল তা বাতিল করবার জন্য একটা হুকুম লেখা হোক।
6 আমার জাতি ও আমার আপন লোকদের উপর সর্বনাশ নেমে আসবে তা দেখে আমি কেমন করে সহ্য করব?”
7 এতে বাদশাহ্ জারেক্সেস রাণী ইষ্টের ও ইহুদী মর্দখয়কে বললেন, “হামান ইহুদীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল বলে আমি তার সম্পত্তি ইষ্টেরকে দিয়েছি আর লোকেরা তাকে ফাঁসি দিয়েছে।
8 কিন্তু বাদশাহ্র নাম করে লেখা এবং বাদশাহ্র আংটি দিয়ে সীলমোহর করা কোন হুকুম বাতিল করা যায় না। কাজেই এখন যেভাবে তোমাদের ভাল মনে হয় সেই ইহুদীদের পক্ষে বাদশাহ্র নাম করে আর একটা হুকুম লিখে বাদশাহ্র স্বাক্ষরের আংটি দিয়ে সীলমোহর কর।”
9 সেই সময় তৃতীয় মাসে, অর্থাৎ সীবন মাসের তেইশ দিনের দিন বাদশাহ্র লেখকদের ডাকা হল। মর্দখয়ের সমস্ত হুকুম অনুসারে ভারত থেকে ইথিওপিয়া পর্যন্ত একশো সাতাশটা বিভাগের ইহুদীদের, প্রদেশের ও বিভাগের শাসনকর্তাদের এবং উঁচু পদের কর্মচারীদের কাছে চিঠি লেখা হল। এই চিঠিগুলো প্রত্যেকটি বিভাগের অক্ষর ও প্রত্যেকটি জাতির ভাষা অনুসারে এবং ইহুদীদের অক্ষর ও ভাষা অনুসারে লেখা হল।