8 কোরবানী দেবার জন্য যখন তোমরা অন্ধ পশু নিয়ে আস তখন তা কি অন্যায় নয়? যখন তোমরা খোঁড়া ও অসুস্থ পশু দিয়ে কোরবানী দাও, তখন কি তা অন্যায় নয়? তোমাদের শাসনকর্তার কাছে সেগুলো কোরবানী দিলে সে কি তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হবে? সে কি তোমাদের কবুল করবে? আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি।”
9 এখন আল্লাহ্র কাছে রহমত চাইলে কি লাভ? তোমাদের হাত দিয়ে যখন এই রকম কোরবানী দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি কি আমাদের কবুল করবেন? শোন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন কি বলছেন,
10 “হায়! যদি তোমাদের মধ্যে একজনও বায়তুল-মোকাদ্দসের দরজাগুলো বন্ধ করত আর তোমরা আমার কোরবানগাহের উপরে অনর্থক আগুন না জ্বালাতে তবে আমি খুশী হতাম। আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্ট নই এবং কোন কোরবানীর জিনিস আমি তোমাদের হাত থেকে কবুল করব না।
11 পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে আমার নাম হবে মহৎ। সব জায়গাতেই আমার উদ্দেশে ধূপ জ্বালানো হবে এবং কোরবানী দেবার জন্য পাক-পবিত্র জিনিস আনা হবে, কারণ সব জাতির মধ্যে আমার নাম মহৎ হবে।
12 কিন্তু তোমরা আমার নাম অসম্মানিত করছ, কারণ তোমরা বলছ, ‘মাবুদের টেবিল নাপাক এবং তার উপরকার খাবার জঘন্য।’
13 তোমরা তুচ্ছ করবার মনোভাব নিয়ে এ-ও বলে থাক, ‘এ কি জ্বালা!’ তোমরা তো লুট করা, খোঁড়া কিংবা অসুস্থ পশু নিয়ে এসে কোরবানীর জন্য দাও, কিন্তু তা কি আমি তোমাদের হাত থেকে নিতে পারি? আমি মাবুদ এই কথা বলছি।
14 যার পশুপালের মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত পুরুষ পশু এবং সে সেটা দেবার জন্য মানতও করেছে কিন্তু তারপর একটা খুঁতযুক্ত পশু মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দিয়েছে, সে তো ঠগ। তার উপর বদদোয়া পড়ুক। আমিই মহান বাদশাহ্ এবং সমস্ত জাতি আমাকেই ভয় করে। আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এই কথা বলছি।”