11 তবুও আমি যা কিছু করেছি আর যা পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করেছি তার দিকে যখন আমি তাকালাম তখন দেখলাম সবই অসার। এই সব কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়। সূর্যের নীচে কোন কিছুতেই লাভ নেই।
12 তারপর আমি জ্ঞান, নীতিহীনতা আর নির্বুদ্ধিতার কথা চিন্তা করলাম। আগের বাদশাহ্ যেভাবে কাজ করে গেছেন আমরা কি জানতে পারি যে, তাঁর পরের বাদশাহ্ সেইভাবে কাজ করবেন?
13 আমি দেখলাম, অন্ধকারের চেয়ে যেমন আলো ভাল, তেমনি নির্বুদ্ধিতার চেয়ে জ্ঞান ভাল।
14 জ্ঞানী লোকের চোখ আছে, কিন্তু বোকা অন্ধকারে চলাফেরা করে; তবে আমি এটাই বুঝতে পারলাম যে, ঐ দু’জনের শেষ দশা একই।
15 তারপর আমি নিজের মনে বললাম, “বোকার যে দশা হয় আমারও তো সেই দশাই হবে। তাহলে এত জ্ঞানী হয়ে আমার কি লাভ হল? এটাও তো অসার।”
16 লোকে বোকাকে যেমন মনে রাখে না তেমনি জ্ঞানীকেও বেশী দিন মনে রাখে না; ভবিষ্যতে এই দু’জনকেই লোকে ভুলে যাবে। বোকা যেমন মরে যায় জ্ঞানী লোকও তেমনি মরে যায়।
17 কাজেই আমি আমার জীবনকে ঘৃণা করতে লাগলাম, কারণ সূর্যের নীচে যে কাজ করা হয় তা আমার কাছে কষ্টের ব্যাপার বলে মনে হল- এ সবই অসার, বাতাসের পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।