17 তখন আলী বললেন, “তোমার মন শান্ত হোক। বনি-ইসরাইলদের আল্লাহ্র কাছে তুমি যা চেয়েছ তা যেন তিনি তোমাকে দেন।”
18 হান্না বললেন, “এই বাঁদীর উপর আপনার দয়া থাকুক।” এই বলে তিনি চলে গেলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করলেন। তাঁর মুখে আর দুঃখের ছায়া রইল না।
19 পরের দিন খুব ভোরে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে এবাদত-খানায় গিয়ে মাবুদের এবাদত করলেন। তারপর তাঁরা রামায় তাঁদের নিজেদের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। পরে ইল্কানা তাঁর স্ত্রী হান্নার সংগে মিলিত হলেন আর মাবুদও হান্নার দিকে মনোযোগ দিলেন।
20 তাতে হান্না গর্ভবতী হলেন এবং সময় হলে তাঁর একটি ছেলে হল। “আমি মাবুদের কাছ থেকে তাকে চেয়ে নিয়েছি,” এই বলে হান্না ছেলেটির নাম রাখলেন শামুয়েল।
21 পরে ইল্কানা প্রতি বছরের মত আবার তাঁর পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে পশু-কোরবানী ও মানত পূরণ করতে গেলেন,
22 কিন্তু হান্না গেলেন না। তিনি তাঁর স্বামীকে বললেন, “ছেলেটিকে বুকের দুধ ছাড়ানোর পর আমি তাকে নিয়ে মাবুদের সামনে উপস্থিত হব যাতে সে সারা জীবন সেখানেই থাকতে পারে।”
23 তাঁর স্বামী ইল্কানা তাঁকে বললেন, “তোমার যা ভাল মনে হয় তা-ই কর। ছেলেটিকে দুধ না ছাড়ানো পর্যন্ত তুমি এখানে থাক। মাবুদ যেন তাঁর ওয়াদা পূরণ করেন।” কাজেই হান্না বাড়ীতেই রয়ে গেলেন এবং ছেলেটিকে দুধ না ছাড়ানো পর্যন্ত তার দেখাশোনা করতে থাকলেন।