31 দাউদ যা বলছিলেন তা অন্যেরা শুনে তালুতকে জানাল। তখন তালুত তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
32 দাউদ তালুতকে বললেন, “ঐ ফিলিস্তিনীটাকে দেখে কারও ঘাবড়াবার দরকার নেই। আপনার এই গোলাম গিয়ে তার সংগে যুদ্ধ করবে।”
33 তালুত বললেন, “তুমি ঐ ফিলিস্তিনীটার সংগে কি করে যুদ্ধ করবে? তুমি তো মাত্র সেদিনকার ছেলে, আর ঐ ফিলিস্তিনীটা অল্প বয়স থেকেই যোদ্ধা।”
34-35 দাউদ তালুতকে বললেন, “আপনার এই গোলাম তার বাবার ভেড়ার পাল চরায়। যখনই কোন সিংহ বা ভল্লুক এসে পাল থেকে ভেড়া ধরে নিয়ে যেত তখনই আমি তার পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাকে মেরে তার মুখ থেকে ভেড়াটাকে রক্ষা করতাম। সে উঠে যখন আমাকে রুখে দাঁড়াত তখন আমি তার দাড়ি ধরে আঘাত করে তাকে মেরে ফেলতাম।
36 সিংহ, ভল্লুক দুই-ই আপনার এই গোলামের হাতে মারা পড়েছে, আর এই খৎনা-না-করানো ফিলিস্তিনীটার দশাও ঐগুলোর মত হবে, কারণ সে জীবন্ত আল্লাহ্র সৈন্যদলকে টিটকারি দিয়েছে।”
37 দাউদ আরও বললেন, “মাবুদ, যিনি আমাকে সিংহ আর ভল্লুকের থাবা থেকে রক্ষা করেছেন, তিনিই আমাকে ঐ ফিলিস্তিনীটার হাত থেকেও রক্ষা করবেন।”তখন তালুত দাউদকে বললেন, “তবে যাও, মাবুদ তোমার সংগে থাকুন।”
38 এই বলে তালুত তাঁর নিজের পোশাক দাউদকে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর মাথায় দিলেন ব্রোঞ্জের টুপী আর গায়ে দিলেন যুদ্ধের সাজ।