29 তাহলে আমার ঘরে যে সব কোরবানী দিতে আমি হুকুম দিয়েছি তোমরা কেন সেই সব পশু-কোরবানী এবং অন্যান্য কোরবানীগুলোর অসম্মান করছ? আমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের কোরবানীগুলোর সবচেয়ে ভাল অংশটুকু দিয়ে নিজেদের মোটাসোটা করে কেন তুমি আমার চেয়ে তোমার ছেলেদের বড় করে দেখছ?’
30 “সেইজন্য বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, ‘আমি অবশ্য বলেছিলাম যে, তোমার ও তোমার পূর্বপুরুষদের বংশের লোকেরা চিরকাল আমার এবাদত-কাজ করবে’; কিন্তু এখন মাবুদ বলছেন, ‘তা আর চলবে না। যারা আমাকে সম্মান করবে আমি তাদের সম্মান করব এবং যারা আমাকে তুচ্ছ করবে তাদের তুচ্ছ করা হবে।
31 দেখ, সময় আসছে যখন আমি তোমার বংশের ও তোমার পূর্বপুরুষদের বংশের লোকদের শক্তি এমনভাবে শেষ করে দেব যে, তোমার বংশে একটি লোকও বুড়ো বয়স পর্যন্ত বাঁচবে না।
32 তুমি আমার ঘরের দুর্দশা দেখতে পাবে। বনি-ইসরাইলদের যত উন্নতিই আমি করি না কেন তোমার বংশের কেউ কখনও বুড়ো বয়স পর্যন্ত বাঁচবে না।
33 তবুও তোমার বংশের সবাইকে আমি আমার কোরবানগাহ্ থেকে ছেঁটে ফেলব না যাতে তাদের দরুন চোখের পানিতে তোমার দেখবার শক্তি নষ্ট হয় এবং তুমি অন্তরে যন্ত্রণা পাও; আর তোমার বংশের সমস্ত লোক যুবা বয়সেই মারা যাবে।
34 “ ‘তোমার দুই ছেলে হফ্নি ও পীনহস একই দিনে মারা যাবে, আর সেটাই হবে তোমার জন্য একটা চিহ্ন।
35 কিন্তু আমি আমার জন্য একজন বিশ্বস্ত ইমাম দাঁড় করাব, যে আমার মন বুঝে আমার ইচ্ছামত কাজ করবে। আমি তার বংশকে স্থায়ী করব এবং সে সব সময় আমার অভিষেক-করা বান্দার সেবা করবে।