11 ঘৃণ্য সেই লোকেরা! তারা কাবিলের পথে গেছে, লাভের জন্য বালামের ভুলের হাতে নিজেদের ছেড়ে দিয়েছে আর কারুনের মত বিদ্রোহ করে ধ্বংস হয়ে গেছে।
12 এই লোকেরা যখন দুঃসাহস নিয়ে তোমাদের প্রীতি-ভোজে যোগ দেয় তখন তোমাদের সেই মেজবানীর মধ্যে তারা ময়লার মত হয়। এরা কেবল নিজেদের বিষয়েই চিন্তা করে। এরা বাতাসে বয়ে নিয়ে যাওয়া পানিহীন মেঘের মত। ফল পাড়বার সময়ে ফলহীন বলে শিকড়সুদ্ধ উপ্ড়ে ফেলা গাছের মত এরা দু’দিক থেকেই মৃত।
13 এরা ঝড়ের মধ্যে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত; সমুদ্রের ফেনার মতই এদের লজ্জার কাজগুলো ভেসে ওঠে। এরা ঘুরে বেড়ানো তারার মতই; চিরকালের জন্য ভীষণ অন্ধকার এদের জন্য জমা করে রাখা হয়েছে।
14-15 আদমের বংশের সপ্তম পুরুষ ইনোক নবী এই লোকদের বিষয়ে আগেই বলেছিলেন, “দেখ, প্রভু তাঁর হাজার হাজার পবিত্র ফেরেশতাদের নিয়ে সকলের বিচার করতে আসছেন, আর ভয়হীন লোকেরা ভয়হীন ভাবে যে সব খারাপ কাজ করেছে এবং সেই ভয়হীন গুনাহ্গার লোকেরা প্রভুর বিরুদ্ধে যে সব শক্ত কথা বলেছে তার জন্য তিনি তাদের দোষী করতে আসছেন।”
16 এই সব লোকেরা সব সময় অসন্তুষ্টির ভাব দেখায়, নিজেদের ভাগ্যের দোষ দেয় এবং অন্তরের খারাপ কামনা-বাসনা অনুসারে চলাফেরা করে। তারা নিজেদের নিয়ে গর্ব করে এবং লাভের জন্য লোকদের খোশামোদ করে।
17 কিন্তু প্রিয় বন্ধুরা, যে সব কথা আমাদের হযরত ঈসা মসীহের সাহাবীরা আগে বলেছিলেন তা তোমরা মনে করে দেখ।
18 তাঁরা তোমাদের এই কথা বলতেন, “ঠাট্টা-বিদ্রূপ করাই যাদের স্বভাব তারা শেষ সময়ে আসবে এবং তাদের ভয়হীন কামনা-বাসনা অনুসারে চলবে।”