2 আর বাদশাহ্ সেই দ্বিতীয় দিনে আঙ্গুর-রস সহযোগে ভোজের সময়ে ইষ্টেরকে পুনর্বার বললেন, ইষ্টের রাণী, তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া যাবে; এবং তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত চাইলেও তা সিদ্ধ করা যাবে।
3 তখন ইষ্টের রাণী উত্তর করলেন, বাদশাহ্, আমি যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি ও যদি বাদশাহ্র ভাল মনে হয়, তবে আমার নিবেদনে আমার প্রাণ ও আমার অনুরোধে আমার জাতি আমাকে দেওয়া হোক;
4 কেননা আমাকে ও আমার স্বজাতিকে ধ্বংস করার, হত্যা ও বিনষ্ট করার জন্য বিক্রি করা হয়েছে। যদি আমাদের কেবল গোলাম বাঁদী হবার জন্য বিক্রি করা হত, তবে আমি নীরব থাকতাম; কিন্তু তা হলেও বাদশাহ্র ক্ষতিপূরণ করা বিপক্ষের অসাধ্য হত।
5 তখন বাদশাহ্ জারেক্সেস ইষ্টের রাণীকে বললেন, এমন কাজ করার মানস যার অন্তরে জন্মেছে, সে কে? আর সে কোথায়?
6 ইষ্টের বললেন, এক জন বিপক্ষ ও দুশমন, সে এই দুষ্ট হামন। তখন হামন বাদশাহ্র ও রাণীর সাক্ষাতে ভীষণ ভয় পেল।
7 পরে বাদশাহ্ ক্রোধ বশত আঙ্গুর-রস পান থেকে উঠে রাজপ্রাসাদের বাগানে গেলেন; আর হামন ইষ্টের রাণীর কাছে তাঁর প্রাণ ভিক্ষা করার জন্য দাঁড়াল, কেননা সে দেখলো, বাদশাহ্ থেকে তার অমঙ্গল অবধারিত।
8 পরে বাদশাহ্ রাজপ্রাসাদের বাগান থেকে আঙ্গুর-রস সহযোগে ভোজের স্থানে ফিরে আসলেন; তখন ইষ্টের যে স্থানে বসে ছিলেন, হামন তার উপরে পড়ে ছিল; তাতে বাদশাহ্ বললেন, এই ব্যক্তি কি বাড়ির মধ্যে আমার সাক্ষাতে রাণীর ইজ্জত নষ্ট করবে? এই কথা বাদশাহ্র মুখ থেকে বের হওয়া মাত্র লোকেরা হামনের মুখ আচ্ছাদন করলো।