21 এই প্রত্যাশায় তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যে, সৃষ্টি নিজেও যেন ক্ষয়ের গোলামী থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্র সন্তানদের মহিমার স্বাধীনতার অংশীদার হতে পারে।
22 কারণ আমরা জানি, সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্যন্ত একসঙ্গে ভীষণ প্রসব-বেদনায় আর্তনাদ করছে।
23 কেবল তা নয়; কিন্তু রূহ্রূপ অগ্রিমাংশ পেয়েছি যে আমরা, আমরা নিজেরাও দত্তকপুত্রতার অপেক্ষা, অর্থাৎ নিজ নিজ দেহের মুক্তির অপেক্ষা করতে করতে অন্তরে আর্তনাদ করছি।
24 কেননা প্রত্যাশায় আমরা নাজাত পেয়েছি; কিন্তু দৃষ্টিগোচর যে প্রত্যাশা, তা প্রত্যাশাই নয়। কেননা যে যা দেখতে পায়, সে তার জন্য কেন প্রত্যাশা করবে?
25 কিন্তু আমরা যা দেখতে পাই না, যদি তার প্রত্যাশা করি, তবে ধৈর্য সহকারে তার অপেক্ষায় থাকি।
26 আর সেভাবে পাক-রূহ্ও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা যেভাবে মুনাজাত করা উচিত সেভাবে মুনাজাত করতে জানি না, কিন্তু পাক-রূহ্ নিজে অব্যক্ত আর্তনাদ দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
27 আর আল্লাহ্, যিনি সকলের অন্তর অনুসন্ধান করেন, তিনি পাক-রূহের মনের কথা জানেন, কারণ তিনি পবিত্র লোকদের পক্ষে আল্লাহ্র ইচ্ছা অনুসারেই অনুরোধ করেন।