3 কিন্তু যোনা সদাপ্রভুর কাছ থেকে তর্শীশে পালিয়ে যাবার জন্য রওনা হলেন। তিনি যাফো বন্দরে গিয়ে তর্শীশে যাবার একটা জাহাজ পেলেন। ভাড়া দেবার পর তিনি সেই জাহাজে উঠলেন এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে পালিয়ে যাবার জন্য তর্শীশের দিকে যাত্রা করলেন।
4 তখন সদাপ্রভু সমুদ্রে একটা জোর বাতাস পাঠিয়ে দিলেন। তাতে এমন ভয়ংকর একটা ঝড় উঠল যে, জাহাজখানা ভেংগে যাবার মত হল।
5 এতে নাবিকেরা সবাই ভয় পেয়ে প্রত্যেকে নিজের নিজের দেবতার কাছে কান্নাকাটি করতে লাগল। জাহাজের ভার কমাবার জন্য তারা মালপত্র সমুদ্রে ফেলে দিল। কিন্তু এর আগেই যোনা জাহাজের খোলে নেমে গিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁর ঘুম গাঢ় হয়েছিল।
6 তখন জাহাজের ক্যাপ্টেন যোনার কাছে গিয়ে বললেন, “তুমি কেমন করে ঘুমাচ্ছ? উঠে তোমার দেবতাকে ডাক। তিনি হয়তো আমাদের দিকে মনোযোগ দেবেন আর তাতে আমরা ধ্বংস হব না।”
7 পরে নাবিকেরা একে অন্যকে বলল, “কে এই বিপদের জন্য দায়ী তা দেখবার জন্য এস, আমরা গুলিবাঁট করে দেখি।” তারা গুলিবাঁট করলে পর যোনার নাম উঠল।
8 তখন তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি আমাদের বল, এই যে বিপদ আমাদের উপর এসেছে তার জন্য কে দায়ী? তুমি কি কাজ কর? তুমি কোথা থেকে এসেছ? তুমি কোন্ দেশের লোক? তুমি কোন্ জাতির লোক?”
9 উত্তরে যোনা বললেন, “আমি একজন ইব্রীয়। আমি স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপাসনা করি। তিনিই সাগর ও ভূমি তৈরী করেছেন।”