11 তা ছাড়া এটাও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে, আইন-কানুন পালন করবার জন্য ঈশ্বর কাউকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করেন না, কারণ পবিত্র শাস্ত্রের কথামত, “যাকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয় সে বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।” বিশ্বাসের সংগে আইন-কানুনের কোন সম্বন্ধ নেই।
12 আইন-কানুন বরং বলে, “যে লোক আইন-কানুন মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
13 আইন-কানুন অমান্য করবার দরুন যে অভিশাপ আমাদের উপর ছিল, খ্রীষ্ট সেই অভিশাপ নিজের উপর নিয়ে আমাদের মুক্ত করেছেন। পবিত্র শাস্ত্রে এই কথা লেখা আছে, “যাকে গাছে টাংগানো হয় সে অভিশপ্ত।”
14 ঈশ্বর অব্রাহামকে যে আশীর্বাদ করেছিলেন সেই আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুর মধ্য দিয়ে যেন অযিহূদীরাও পেতে পারে, আর যেন আমরা বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে প্রতিজ্ঞা-করা পবিত্র আত্মাকে পেতে পারি, সেইজন্যই খ্রীষ্ট সেই অভিশাপ নিজের উপর নিয়েছিলেন।
15 ভাইয়েরা, আমি একটা সাধারণ কথা দিয়ে বিষয়টা বুঝাচ্ছি। একবার যখন মানুষের মধ্যে কোন চুক্তি পাকা করে ফেলা হয় তখন সেই চুক্তি কেউ বাতিল করতে পারে না বা তার সংগে কিছু যোগও দিতে পারে না।
16 অব্রাহাম ও তাঁর বংশের কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। পবিত্র শাস্ত্র বলে নি, “বংশগুলোর কাছে,” অর্থাৎ অনেক বংশের কাছে, বরং বলেছে, “তোমার বংশের কাছে,” অর্থাৎ একটি বংশের কাছে, আর সেই বংশের বংশধর হলেন খ্রীষ্ট।
17 আমার কথার মানে হল, ঈশ্বর অব্রাহামের সময়ে একটা প্রতিজ্ঞাপুর্ণ ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন। তার চারশো ত্রিশ বছর পরে আইন-কানুন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতে আগের সেই ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল না; কাজেই তার প্রতিজ্ঞা টিকেই রইল।