11 তারা আমাদেরকে এই জবাব দিল, যিনি বেহেশতের ও দুনিয়ার আল্লাহ্, আমরা তাঁরই গোলাম; আর এই যে গৃহ নির্মাণ করছি, তা বহু বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল, ইসরাইলের এক জন মহান বাদশাহ্ তা নির্মাণ ও সমাপ্ত করেছিলেন।
12 পরে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বেহেশতের আল্লাহ্কে অসন্তুষ্ট করাতে, তিনি তাদেরকে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ কল্দীয় বখতে-নাসারের হাতে তুলে দেন; তিনি এই গৃহ ধ্বংস করেন এবং লোকদেরকে ব্যাবিলনে নিয়ে যান।
13 কিন্তু ব্যাবিলনের বাদশাহ্ কাইরাসের প্রথম বছরে কাইরাস বাদশাহ্ আল্লাহ্র এই গৃহ নির্মাণ করতে হুকুম করলেন।
14 আর বখতে-নাসার আল্লাহ্র গৃহের যেসব সোনার ও রূপার পাত্র জেরুশালেমের এবাদতখানা থেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাবিলনের মন্দিরে রেখেছিলেন, সেসব পাত্র কাইরাস বাদশাহ্ ব্যাবিলনস্থ এবাদতখানা থেকে বের করে তাঁর নিযুক্ত শেশ্বসর নামক শাসনকর্তার হাতে তুলে দিলেন,
15 এবং তাঁকে বললেন, তুমি এসব পাত্র জেরুশালেমের বায়তুল মোকাদ্দসে নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখ এবং আল্লাহ্র গৃহ স্বস্থানে নির্মিত হোক।
16 সেই সময় সেই শেশ্বসর এসে জেরুশালেমেস্থ আল্লাহ্র গৃহের ভিত্তিমূল স্থাপন করলেন; সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এর গাঁথুনি হচ্ছে, তবুও এর নির্মাণ শেষ হয় নি।
17 অতএব এখন যদি বাদশাহ্ ভাল মনে করেন, তবে কাইরাস বাদশাহ্ জেরুশালেমের আল্লাহ্র গৃহ নির্মাণ করার হুকুম দিয়েছিলেন কি না, তা বাদশাহ্র ঐ ব্যাবিলনে অবস্থিত ধনাগারে অনুসন্ধান করা হোক; পরে বাদশাহ্ এই বিষয়ে আমাদের কাছে তার ইচ্ছা বলে পাঠাবেন।”