1 তোমার কোন ভাইয়ের বলদ কিংবা ভেড়াকে পথহারা হতে দেখলে তুমি তোমার কর্তব্য থেকে সরে যেও না; অবশ্য তোমার ভাইয়ের কাছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনবে।
2 যদি তোমার সেই ভাই তোমার নিকটস্থ কিংবা পরিচিত না হয়, তবে তুমি সেই পশুকে তোমার বাড়িতে এনে যতক্ষণ সেই ভাই তার খোঁজ না করে, ততক্ষণ তোমার কাছে রাখবে, পরে তা ফিরিয়ে দেবে।
3 তুমি তার গাধার সম্বন্ধেও সেরকম করবে এবং তার কাপড়ের সম্বন্ধেও সেরকম করবে, তোমার ভাইয়ের হারানো যে কোন দ্রব্য তুমি পাও, সেই সবের বিষয়ে সেরকম করবে; তোমার কর্তব্য থেকে সরে যাওয়া তোমার জন্য ঠিক নয়।
4 তোমার ভাইয়ের গাধা কিংবা বলদকে পথে পড়ে থাকতে দেখলে তুমি তোমার কর্তব্য থেকে সরে যেও না; অবশ্য তুমি তাদেরকে তুলতে সাহায্য করবে।
5 স্ত্রীলোক পুরুষের কাপড়, কিংবা পুরুষ স্ত্রীলোকের কাপড় পরবে না; কেননা যে কেউ তা করে, সে তোমার আল্লাহ্ মাবুদের ঘৃণার পাত্র।
6 পথের পাশের কোন গাছে কিংবা ভূমির উপরে তোমার সম্মুখে যদি কোন পাখির বাসাতে বাচ্চা কিংবা ডিম থাকে এবং সেই বাচ্চার কিংবা ডিমের উপরে মা-পাখি বসে থাকে তবে তুমি বাচ্চাগুলোর সঙ্গে মা-পাখিকে ধরবে না।
7 তুমি নিজের জন্য বাচ্চাগুলোকে নিতে পার, কিন্তু নিশ্চয় মা-পাখিকে ছেড়ে দেবে; যেন তোমার মঙ্গল ও দীর্ঘ পরমায়ু হয়।
8 নতুন বাড়ি প্রস্তুত করলে তার ছাদে আলিসিয়া নির্মাণ করবে, পাছে তার উপর থেকে কোন মানুষ পড়লে তুমি তোমার বাড়িতে রক্তপাতের অপরাধ বর্তাও।
9 তোমার আঙ্গুর-ক্ষেতে দুই জাতের বীজ বপন করবে না; পাছে সমস্ত ফলে— তোমার লাগানো বীজে ও আঙ্গুর-ক্ষেতের ফলে— তুমি স্বত্বহীন হও।
10 বলদ ও গাধা একত্র জুড়ে চাষ করবে না।
11 লোম ও মসীনা-মিশানো সুতায় তৈরি কাপড় পরো না।
12 তোমার আবরণের জন্য পরিধেয় কাপড়ের চার কোণে ঝালর দিও।
13 কোন পুরুষ যদি বিয়ে করে স্ত্রীর কাছে গমন করে, পরে তাকে ঘৃণা করে,
14 এবং তার নামে অপবাদ দেয় ও তার দুর্নাম করে বলে, আমি এই স্ত্রীকে বিয়ে করেছি বটে, কিন্তু মিলন-কালে এর সতীত্বের চিহ্ন পেলাম না;
15 তবে সেই কন্যার পিতা-মাতা তার সতীত্বের চিহ্ন নিয়ে নগরের প্রধান ব্যক্তিবর্গের কাছে নগর-দ্বারে উপস্থিত করবে।
16 আর কন্যার পিতা তাদের বলবে, আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে আমার কন্যার বিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু সে তাকে ঘৃণা করে;
17 আর দেখ, এই অপবাদ দিয়ে বলে, আমি তোমার কন্যার সতীত্বের চিহ্ন পাই নি; কিন্তু এই দেখুন আমার কন্যার সতীত্বের চিহ্ন। আর তারা নগরের প্রধান ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাতে সেই ব্যবহার করা কাপড় মেলে ধরবে।
18 পরে নগরের প্রাচীনবর্গরা সেই পুরুষকে ধরে শাস্তি দেবে।
19 আর তার এক শত (শেকল) রূপা দণ্ড হিসাবে কন্যার পিতাকে দেবে, কেননা সেই ব্যক্তি ইসরাইলীয় এক জন সতী নারীর উপরে দুর্নাম এনেছে; আর সে তার স্ত্রী হবে, ঐ পুরুষ তার সারা জীবনে তাকে তালাক দিতে পারবে না।
20 কিন্তু সেই কথা যদি সত্য হয়, কন্যার সতীত্বের চিহ্ন যদি না পাওয়া যায়;
21 তবে তারা সেই কন্যাকে বের করে তার পিতার বাড়ির দরজার কাছে আনবে এবং সেই কন্যার নগরের পুরুষেরা পাথর ছুঁড়ে তাকে হত্যা করবে; কেননা পিতার বাড়িতে জেনা করাতে সে ইসরাইলের মধ্যে মূঢ়তার কাজ করেছে; এভাবে তুমি তোমার মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
22 কোন পুরুষ যদি পরস্ত্রীর সঙ্গে শয়ন-কালে ধরা পড়ে, তবে পরস্ত্রীর সঙ্গে শয়নকারী সেই পুরুষ ও সেই স্ত্রী উভয়ে হত হবে; এভাবে তুমি ইসরাইলের মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
23 যদি কেউ পুরুষের প্রতি বাগ্দত্তা কোন কুমারীকে নগরের মধ্যে পেয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে;
24 তবে তোমরা সেই দু’জনকে বের করে নগর-দ্বারের কাছে এনে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে; সেই কন্যাকে হত্যা করবে, কেননা নগরের মধ্যে থাকলেও সে চিৎকার করে নি এবং সেই পুরুষকে হত্যা করবে, কেননা সে তার প্রতিবেশীর স্ত্রীকে তার সম্মান ভ্রষ্ট করেছে; এভাবে তুমি তোমার মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
25 কিন্তু যদি কোন পুরুষ বাগ্দত্তা কন্যাকে মাঠে পেয়ে বলপূর্বক তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে তার সঙ্গে শয়নকারী সেই পুরুষমাত্র হত হবে;
26 কিন্তু কন্যার প্রতি তুমি কিছুই করবে না; সে কন্যা প্রাণদণ্ডের যোগ্য কোন গুনাহ্ করে নি; ফলত যেমন কোন মানুষ তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে উঠে তাকে প্রাণে খুন করে, এও সেরকম।
27 কেননা সেই পুরুষ মাঠে তাকে পেয়েছিল; ঐ বাগ্দত্তা কন্যা চিৎকার করলেও তার উদ্ধারকর্তা কেউ ছিল না।
28 যদি কেউ বাগ্দত্তা নয় এমন কোনও কুমারী কন্যাকে পেয়ে তাকে ধরে তার সঙ্গে শয়ন করে,
29 ও তারা ধরা পড়ে, তবে তার সঙ্গে শয়নকারী সেই পুরুষ কন্যার পিতাকে পঞ্চাশ (শেকল) রূপা দেবে এবং তাকে তার সম্মান ভ্রষ্ট করেছে বলে সে তার স্ত্রী হবে; সেই পুরুষ তাকে সারা জীবনে তালাক দিতে পারবে না।
30 কোন পুরুষ তার পিতার স্ত্রীকে গ্রহণ করবে না ও তার পিতার আবরণীয় অনাবৃত করবে না।