44 তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে যদি তারা তাদের দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত নগরের অভিমুখে ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের অভিমুখে মাবুদের কাছে মুনাজাত করে;
45 তবে তুমি বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।
46 তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে— কেননা গুনাহ্ না করে এমন কোন মানুষ নেই এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ত্রুুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ শত্রু-দেশে নিয়ে যায়;
47 তবুও যে দেশে তাদের বন্দী হিসেবে নেওয়া হয়েছে, সেই দেশে যদি মনে মনে বিবেচনা করে ও ফিরে এবং যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি তোমার কাছে ফরিয়াদ করে বলে, আমরা গুনাহ্ করেছি; অপরাধী হয়েছি, অবাধ্য হয়েছি;
48 যে দুশমনেরা তাদেরকে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি সমস্ত অন্তঃকরণ ও অকৃত্রিম ইচ্ছা নিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে এবং তুমি তাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছ, তাদের সেই দেশের জন্য, তোমার মনোনীত নগরের জন্য ও তোমার নাম উপলক্ষে আমার নির্মিত গৃহের জন্য যদি তোমার কাছে মুনাজাত করে;
49 তবে তুমি তোমার নিবাসস্থান বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো;
50 আর তোমার যে লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে, তাদেরকে মাফ করো এবং তোমার বিরুদ্ধে কৃত তাদের সমস্ত অধর্ম মার্জনা করো; আর যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে যায়, তাদের করুণার পাত্র করো, তারা যেন এদের প্রতি করুণা করে।