8 এ দেখে তাঁর স্বামী ইল্কানা তাঁকে বলতেন, “হান্না, তুমি কেন কাঁদছ? কেন কিছু খাচ্ছ না? কেন তোমার এত দুঃখ? আমি কি তোমার কাছে দশটা ছেলের চেয়েও বেশী নই?”
9 এক সময় শীলোতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হান্না উঠে উপাসনা-ঘরে গেলেন। পুরোহিত এলি তখন সদাপ্রভুর সেই ঘরের দরজার কাছে একটা আসনে বসে ছিলেন।
10 মনের কষ্টে হান্না সদাপ্রভুর কাছে খুব কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করতে লাগলেন।
11 তিনি সদাপ্রভুর কাছে মানত করে বললেন, “হে সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভু, তুমি যদি তোমার এই দাসীর মনের কষ্টের দিকে চেয়ে দেখ এবং আমার প্রতি মনোযোগ দাও আর আমাকে ভুলে না গিয়ে যদি তোমার এই দাসীকে একটা ছেলে দাও তবে সারা জীবনের জন্য আমি তাকে তোমার উদ্দেশে দান করব। তার মাথায় কখনো ক্ষুর লাগানো হবে না।”
12 হান্না অনেকক্ষণ ধরে সদাপ্রভুর কাছে যখন প্রার্থনা করছিলেন তখন এলি তাঁর মুখের দিকে লক্ষ্য করছিলেন।
13 হান্না মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন বলে তাঁর ঠোঁট নড়ছিল কিন্তু গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। সেইজন্য এলি ভাবলেন স্ত্রীলোকটি মাতাল হয়েছে।
14 তিনি তাঁকে বললেন, “তুমি মদ খেয়ে আর কতক্ষণ নিজেকে মাতাল করে রাখবে? মদ আর খেয়ো না।”