1 পলেষ্টীয়েরা অফেকে তাদের সমস্ত সৈন্য জড়ো করল। এদিকে ইস্রায়েলীয়েরা যিষ্রিয়েলের ফোয়ারার কাছে তাদের ছাউনি ফেলল।
2 পলেষ্টীয় শাসনকর্তারা শত-সৈন্য এবং হাজার-সৈন্যের দল নিয়ে এগিয়ে চলল, আর তাদের পিছনে আখীশের সংগে দায়ূদ তাঁর লোকজন নিয়ে চললেন।
3 তা দেখে পলেষ্টীয় সেনাপতিরা জিজ্ঞাসা করল, “এই সব ইব্রীয়েরা এখানে কেন?”আখীশ বললেন, “এ তো ইস্রায়েলীয়দের রাজা শৌলের দাস দায়ূদ। সে দু’এক বছর ধরে আমার কাছে আছে। শৌলকে ছেড়ে চলে আসবার দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি তার মধ্যে কোন দোষ পাই নি।”
4 এই কথা শুনে পলেষ্টীয় সেনাপতিরা আখীশের উপর রেগে গিয়ে বলল, “লোকটাকে আপনি ফেরৎ পাঠিয়ে দিন। আপনি তাকে যে জায়গাটা দিয়েছেন সে সেখানেই ফিরে যাক। সে আমাদের সংগে যুদ্ধে যেতে পারবে না। তাহলে যুদ্ধে গিয়ে সে আমাদের বিপক্ষে দাঁড়াবে। তার মনিবকে খুশী করতে হলে তাকে তো আমাদের লোকদের মুণ্ড দিয়েই তা করতে হবে।
5 এ কি সেই দায়ূদ নয়, যার বিষয়ে তারা নেচে নেচে গেয়েছিল,‘শৌল মারলেন হাজার হাজারআর দায়ূদ মারলেন অযুত অযুত’?”
6 আখীশ তখন দায়ূদকে ডেকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য যে, আমি জানি তুমি সৎ লোক। এই সৈন্যদলের মধ্যে তুমি যা কিছু করেছ তা আমাকে খুশী করেছে। তোমার আসবার দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি তোমার মধ্যে অন্যায় কিছু দেখতে পাই নি, কিন্তু অন্যান্য শাসনকর্তারা তোমার উপর সন্তুষ্ট নন।
7 তাই তুমি শান্তভাবে ফিরে যাও; তুমি এমন কিছু কোরো না যাতে পলেষ্টীয় শাসনকর্তারা অসন্তুষ্ট হন।”
8 তখন দায়ূদ জিজ্ঞাসা করলেন, “কিন্তু আমি কি করেছি? আমার আসবার দিন থেকে আজ পর্যন্ত আপনার এই দাসের মধ্যে আপনি কি দোষ পেয়েছেন যার জন্য আমি আমার প্রভু মহারাজের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যেতে পারব না?”
9 উত্তরে আখীশ বললেন, “আমি জানি তুমি আমার কাছে ঈশ্বরের একজন দূতের মতই ভাল; তবুও পলেষ্টীয় সেনাপতিরা বলছেন তুমি যেন আমার সংগে যুদ্ধে না যাও।
10 কাজেই তুমি ও তোমার মনিবের যে সব লোক তোমার সংগে এসেছে তোমরা কাল ভোরে উঠো এবং আলো হওয়ার সংগে সংগে চলে যেয়ো।”
11 তাই দায়ূদ ও তাঁর লোকেরা পলেষ্টীয়দের দেশে ফিরে যাবার জন্য খুব ভোরে উঠলেন, আর পলেষ্টীয়েরা যিষ্রিয়েলে চলে গেল।