32 দায়ূদ শৌলকে বললেন, “ঐ পলেষ্টীয়টাকে দেখে কারও ঘাবড়াবার দরকার নেই। আপনার এই দাস গিয়ে তার সংগে যুদ্ধ করবে।”
33 শৌল বললেন, “তুমি ঐ পলেষ্টীয়টার সংগে কি করে যুদ্ধ করবে? তুমি তো মাত্র সেদিনকার ছেলে, আর ঐ পলেষ্টীয়টা অল্প বয়স থেকেই যোদ্ধা।”
34-35 দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আপনার এই দাস তার বাবার ভেড়ার পাল চরায়। যখনই কোন সিংহ বা ভাল্লুক এসে পাল থেকে ভেড়া ধরে নিয়ে যেত তখনই আমি তার পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাকে মেরে তার মুখ থেকে ভেড়াটাকে রক্ষা করতাম। সে উঠে যখন আমাকে রুখে দাঁড়াত তখন আমি তার দাড়ি ধরে আঘাত করে তাকে মেরে ফেলতাম।
36 সিংহ, ভাল্লুক দুই-ই আপনার এই দাসের হাতে মারা পড়েছে, আর এই সুন্নত-না-করানো পলেষ্টীয়টার দশাও ঐগুলোর মত হবে, কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারি দিয়েছে।”
37 দায়ূদ আরও বললেন, “সদাপ্রভু, যিনি আমাকে সিংহ আর ভাল্লুকের থাবা থেকে রক্ষা করেছেন, তিনিই আমাকে ঐ পলেষ্টীয়টার হাত থেকেও রক্ষা করবেন।”তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “তবে যাও, সদাপ্রভু তোমার সংগে থাকুন।”
38 এই বলে শৌল তাঁর নিজের পোশাক দায়ূদকে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর মাথায় দিলেন ব্রোঞ্জের টুপী আর গায়ে দিলেন যুদ্ধের সাজ।
39 দায়ূদ তাঁর পোশাকের উপরে শৌলের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করলেন, কারণ আগে তিনি তা কখনও করেন নি।তিনি শৌলকে বললেন, “এই সব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি কখনও তা করি নি।” এই বলে তিনি সেগুলো খুলে ফেললেন।