14 তারপর দায়ূদ সৈন্যদের এবং নেরের ছেলে অব্নেরকে ডাক দিয়ে বললেন, “অব্নের, আপনি কি কিছু বলবেন না?”উত্তরে অব্নের বলল, “কে তুমি, রাজাকে ডাকাডাকি করছ?”
15 দায়ূদ বললেন, “আপনি তো একজন বীর, তাই না? ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে আপনার সমান আর কে আছে? কেন আপনি শত্রুর বিপক্ষে আপনার মনিব মহারাজকে পাহারা দিয়ে রাখলেন না? আপনার মনিব মহারাজকে মেরে ফেলবার জন্য একজন লোক গিয়েছিল।
16 আপনি যা করেছেন তা মোটেই ঠিক হয় নি। জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্য যে, আপনি ও আপনার লোকদের মরা উচিত, কারণ আপনাদের মনিব, যিনি সদাপ্রভুর অভিষেক করা লোক, তাঁকে শত্রুর বিপক্ষে আপনারা পাহারা দিয়ে রাখেন নি। রাজার মাথার কাছে তাঁর যে বর্শা ও জলের পাত্র ছিল সেগুলো কোথায়?”
17 শৌল দায়ূদের গলার স্বর চিনে বললেন, “বাবা দায়ূদ, এ কি সত্যিই তোমার গলার স্বর?”দায়ূদ বললেন, “হ্যাঁ মহারাজ, এ আপনার দাসেরই গলার স্বর।”
18 তারপর তিনি আরও বললেন, “কেন আমার মনিব তাঁর দাসের পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছেন? আমি কি করেছি? কি অন্যায় করেছি?
19 আমার মহারাজ, আমার প্রভু, এখন দয়া করে আপনার দাসের কথা শুনুন। যদি সদাপ্রভুই আপনাকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে থাকেন তবে আমার করা উৎসর্গ তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। কিন্তু যদি মানুষ তা করে থাকে তবে তাদের উপর যেন সদাপ্রভুর অভিশাপ নেমে আসে, কারণ তারা আজ সদাপ্রভুর দেওয়া সম্পত্তিতে আমার যে ভাগ আছে তা থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ‘চলে যাও, দেব-দেবতার পূজা কর গিয়ে।’
20 কিন্তু আপনার কাছে আমার এই মিনতি যে, সদাপ্রভু নেই এমন দূরের কোন জায়গায় যেন আমার রক্তপাত না হয়। লোকে পাহাড়ে যেমন করে তিতির পাখী ধরতে যায় ইস্রায়েলীয়দের রাজা তেমনি করে একটা পোকার খোঁজে বের হয়ে এসেছেন।”