13 এই সব লোকেরা বিশ্বাসের মধ্যে জীবন কাটিয়ে মারা গেছেন। ঈশ্বর তাঁদের যা দেবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা তাঁরা পান নি, কিন্তু দূর থেকে তা দেখেছিলেন এবং খুশীও হয়েছিলেন। এই পৃথিবীতে যে তাঁরা বিদেশী এবং পরদেশে বাসকারী তা তাঁরা স্বীকারও করেছিলেন।
14 যাঁরা তা স্বীকার করেন তাঁরা পরিষ্কার ভাবে বুঝান যে, তাঁরা নিজেদের জন্য একটা দেশের খোঁজ করছেন।
15 যে দেশ থেকে তাঁরা বের হয়ে এসেছিলেন যদি সেই দেশের কথা তাঁরা চিন্তা করতেন তবে তো সেই দেশে ফিরে যাবার সব সুযোগই তাঁরা পেতেন।
16 কিন্তু তাঁরা আরও ভাল একটা দেশের, অর্থাৎ স্বর্গের খোঁজ করছিলেন। সেইজন্যই ঈশ্বর নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জা বোধ করেন না, কারণ তিনি তাঁদেরই জন্য একটা শহর তৈরী করেছিলেন।
17 অব্রাহামকে পরীক্ষা করবার সময় তিনি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসের জন্যই ইস্হাককে উৎসর্গ করেছিলেন। যাঁর কাছে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনিই তাঁর অদ্বিতীয় ছেলেকে উৎসর্গ করতে যাচ্ছিলেন।
18 এ সেই ছেলে যাঁর বিষয়ে ঈশ্বর বলেছিলেন, “ইস্হাকের বংশকেই তোমার বংশ বলে ধরা হবে।”
19 অব্রাহাম তাঁকে উৎসর্গ করতে রাজী হলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন ঈশ্বর মৃতকে জীবিত করতে পারেন। আর বলতে কি, অব্রাহাম তো মৃত্যুর দুয়ার থেকেই ইস্হাককে ফিরে পেয়েছিলেন।