42 “সেইজন্য আমি আজ ঐ কূয়াটার কাছে এসে মনে মনে মুনাজাত করে বললাম, ‘হে মাবুদ, আমার মালিক ইব্রাহিমের আল্লাহ্, দয়া করে তুমি আমার এই যাত্রা সফল কর।
43 দেখ, আমি এই কূয়ার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। শহর থেকে যদি কোন মেয়ে বের হয়ে পানি তুলতে আসে তবে আমি তাকে বলব যেন সে তার কলসী থেকে আমাকে একটু পানি খেতে দেয়।
44 তাতে যদি সে আমাকে বলে যে, সে আমাকে পানি খাওয়াবে আর আমার উটগুলোর জন্যও পানি তুলে দেবে, তবে সে-ই যেন আমার মালিকের ছেলের জন্য তোমার বেছে রাখা মেয়ে হয়।’
45 “আমার মুনাজাত শেষ হওয়ার আগেই রেবেকা কলসী কাঁধে কূয়ায় এসে পানি তুলতে লাগলেন। আমি তাঁকে বললাম, ‘দয়া করে আমাকে একটু পানি খেতে দিন।’
46 “তিনি তাড়াতাড়ি করে কাঁধ থেকে কলসীটা নামিয়ে বললেন, ‘এই নিন, পানি খান। আমি আপনার উটগুলোকেও পানি খাওয়াব।’ তখন আমি পানি খেলাম আর তিনি আমার উটগুলোকেও পানি খাওয়ালেন।
47 “তারপর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কার মেয়ে?’“তিনি বললেন, ‘আমি নাহুর ও মিল্কার ছেলে বথূয়েলের মেয়ে।’“এই কথা শুনে আমি তাঁর নাকে নথ ও দুই হাতে বালা পরিয়ে দিলাম।
48 তারপর আমি মাবুদকে সেজদা করলাম। মাবুদ, যিনি আমার মালিক ইব্রাহিমের আল্লাহ্, আমি তাঁর শুকরিয়া আদায় করলাম, কারণ তিনিই আমাকে ঠিক পথে চালিয়ে এনেছেন যাতে আমি আমার মালিকের ভাইয়ের ছেলের মেয়েকে তাঁর ছেলের জন্য নিয়ে যেতে পারি।