1 আল্লাহ্র দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যাবার যে ওয়াদা ছিল সেই ওয়াদা আমাদের জন্যও খাটে। সেইজন্য আমাদের সাবধান হতে হবে, যেন কাউকে সেই ওয়াদা করা দোয়ার অযোগ্য বলে দেখা না যায়।
2 বনি-ইসরাইলদের কাছে যেমন সুসংবাদ তবলিগ করা হয়েছিল তেমনি আমাদের কাছেও করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুসংবাদে বনি-ইসরাইলদের কোনই লাভ হয় নি, কারণ তারা তা শুনে ঈমান আনে নি।
3 কিন্তু আমরা ঈমান এনেছি এবং আল্লাহ্র সেই ওয়াদা করা বিশ্রামের জায়গায় এসেছি। এই বিশ্রাম সম্বন্ধে তিনি বলেছিলেন,“সেইজন্য আমি রাগে কসম খেয়ে বলেছিলাম,‘আমার দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় তারা যেতে পারবে না।’ ”কিন্তু এতে কোন ভুল নেই যে, দুনিয়া সৃষ্টির পরে আল্লাহ্র কাজ শেষ হয়ে বিশ্রাম শুরু হয়েছিল।
4 পাক-কিতাবের এক জায়গায় সপ্তম দিন সম্বন্ধে বলা হয়েছে, “আল্লাহ্ সপ্তম দিনে কোন সৃষ্টির কাজ করেন নি।”
5 তিনি আবার বলেছেন, “আমার দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় তারা যেতে পারবে না।”
6 এখন এই কথা ঠিক যে, কিছু লোক তাঁর দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যেতে পারবে; কিন্তু যে ইসরাইলীয়দের কাছে আগে সুসংবাদ তবলিগ করা হয়েছিল তাদের অবাধ্যতার জন্যই তারা আল্লাহ্র দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যেতে পারে নি।
7 এইজন্য আল্লাহ্ যেমন আগে বনি-ইসরাইলদের কাছে বলেছিলেন ঠিক তেমনি অনেক দিন পরে নবী দাউদের মধ্য দিয়ে আবার বলেছেন,আহা, আজ যদি তোমরা তাঁর কথায় কান দাও!তিনি বলেছেন, “তোমাদের দিল তোমরা কঠিন কোরো না।”এই কথা বলে তাঁর দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যাবার জন্য আল্লাহ্ আর একটা সময় ঠিক করেছিলেন এবং তিনি তাঁর নাম দিয়েছিলেন “আজ”।
8 যদি নবী ইউসা বনি-ইসরাইলদের সেই বিশ্রামের জায়গায় নিয়ে যেতেন তবে আল্লাহ্ পরে আর একটা সময়ের কথা বলতেন না।
9 তাহলে দেখা যায়, আল্লাহ্র বান্দাদের জন্য বিশ্রামের সুযোগ আছে,
10 কারণ আল্লাহ্ যেমন তাঁর সৃষ্টির কাজ শেষ করে বিশ্রাম নিয়েছিলেন ঠিক তেমনি যে লোক আল্লাহ্র দেওয়া বিশ্রামের জায়গায় যায়, সেও তার কাজ থেকে বিশ্রাম পায়।
11 এইজন্য এস, আমরা সেই বিশ্রাম পাবার জন্য বিশেষভাবে আগ্রহী হই। কেউ যেন সেই অবাধ্য ইসরাইলীয়দের মত আল্লাহ্কে অমান্য করে তাঁর দেওয়া বিশ্রাম থেকে বাদ না পড়ে।
12 আল্লাহ্র কালাম জীবন্ত ও কার্যকর এবং দু’দিকেই ধার আছে এমন ছোরার চেয়েও ধারালো। এই কালাম মানুষের দিল-রূহ্ ও অসি'-মজ্জার গভীরে কেটে বসে এবং মানুষের দিলের সমস্ত ইচ্ছা ও চিন্তা পরীক্ষা করে দেখে।
13 সৃষ্টির কিছুই আল্লাহ্র কাছে লুকানো নেই। যাঁর কাছে আমাদের হিসাব দিতে হবে তাঁর চোখের সামনে সব কিছুই খোলা এবং প্রকাশিত।
14 এইজন্য এস, আমরা খোলাখুলিভাবে ঈসা ইব্নুল্লাহ্র উপর আমাদের ঈমানকে স্বীকার করে যাই, কারণ তিনিই আমাদের মহান মহা-ইমাম যিনি বেহেশতে গিয়ে এখন আল্লাহ্র সামনে আছেন।
15 আমাদের মহা-ইমাম এমন কেউ নন যিনি আমাদের দুর্বলতার জন্য আমাদের সংগে ব্যথা পান না, কারণ আমাদের মত করে তিনিও সব দিক থেকেই গুনাহের পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অথচ গুনাহ্ করেন নি।
16 সেইজন্য এস, আমরা সাহস করে আল্লাহ্র রহমতের সিংহাসনের সামনে এগিয়ে যাই, যেন দরকারের সময় সেখান থেকে আমরা তাঁর মমতা ও রহমত পেতে পারি।