1 লোকদের পক্ষ হয়ে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করবার জন্য প্রত্যেক মহা-ইমামকে মানুষের মধ্য থেকে বেছে নিয়ে নিযুক্ত করা হয়, যেন তিনি মানুষের গুনাহের জন্য পশু কোরবানী দেন এবং অন্যান্য জিনিসও কোরবানী দেন।
2 যারা না জেনে গুনাহ্ করে এবং বিপথে যায় তাদের সংগে তিনি নরম ব্যবহার করতে পারেন, কারণ তাঁর মধ্যেও দুর্বলতা আছে।
3 তিনি যেমন অন্য লোকদের গুনাহের জন্য পশু কোরবানী দেন তেমনি নিজে দুর্বল বলে নিজের গুনাহের জন্যও তাঁকে সেই কোরবানী দিতে হয়।
4 মহা-ইমাম হবার সম্মান কেউ নিজে নিতে পারে না, কিন্তু আল্লাহ্ যাঁকে ডাকেন তিনিই সেই সম্মান পান, যেমন মহা-ইমাম হবার জন্য আল্লাহ্ হারুনকে ডেকেছিলেন।
5 কথাটা মসীহের বেলায়ও খাটে। মসীহ্ নিজের ইচ্ছায় মহা-ইমাম হবার জন্য নিজেকে বড় করে তোলেন নি; আল্লাহ্ই এই বলে তাঁকে সেই সম্মান দান করেছিলেন,তুমি আমার পুত্র,আজই আমি তোমার পিতা হলাম।
6 তেমনি করে আল্লাহ্ আর এক জায়গায় বলেছিলেন,তুমি চিরকালের জন্য মাল্কীসিদ্দিকের মত ইমাম।
7 যিনি তাঁকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারতেন সেই আল্লাহ্র কাছে ঈসা এই দুনিয়াতে থাকবার সময় জোরে চিৎকার করে কেঁদে অনুরোধ করেছিলেন এবং ভিক্ষা চেয়েছিলেন। তাঁর ভয়ের সংগে বাধ্যতা ছিল বলে আল্লাহ্ তাঁর মুনাজাত শুনেছিলেন।
8 কিন্তু ইব্নুল্লাহ্ হয়েও তিনি দুঃখভোগের মধ্য দিয়ে বাধ্যতা শিখেছিলেন।
9 এইভাবে যখন তিনি পূর্ণতা পেলেন তখন তাঁর বাধ্য সকলের জন্য তিনি অনন্ত নাজাতের পথ হলেন।
10 আল্লাহ্ তাঁকে মাল্কীসিদ্দিকের মত মহা-ইমাম বলে ঘোষণা করলেন।
11 এই বিষয়ে অনেক কথা আমাদের বলবার আছে কিন্তু তা বুঝিয়ে বলা শক্ত, কারণ রূহানী সত্য তোমরা সহজে বুঝতে পার না।
12 এত দিনে তোমাদের ওস্তাদ হয়ে ওঠা উচিত ছিল, কিন্তু তার বদলে আল্লাহ্র কালামের গোড়ার কথাগুলোই আবার তোমাদের শিক্ষা দেবার জন্য ওস্তাদের দরকার হয়ে পড়েছ্ে। শক্ত খাবারের বদলে ছোট ছেলেমেয়েদের মত আবার তোমাদের দুধ খাওয়া দরকার হয়ে পড়েছে।
13 যে দুধ খেয়ে বাঁচে সে তো এখনও শিশু, আর সৎ জীবন সম্বন্ধে যে শিক্ষা আছে তাতে সে কাঁচা।
14 যাদের বয়স হয়েছে কেবল তারাই শক্ত খাবার খেতে পারে, অর্থাৎ আল্লাহ্র কালামের কঠিন শিক্ষাগুলো বুঝতে পারে। অনেক অভ্যাসের ফলে তারা ভাল-মন্দ বিচার করতে শিখেছে।