4 সেই স্ত্রীলোকটা বেগুনী ও লাল রংয়ের পোশাক পরে ছিল এবং তার গায়ে সোনা, দামী দামী পাথর ও মুক্তার গহনা ছিল। জঘন্য জিনিসে ও তার জেনার ময়লায় ভরা একটা সোনার পেয়ালা তার হাতে ছিল।
5 তার কপালে এমন নাম লেখা ছিল যার বিষয়ে একটা গোপন সত্য আছে। সেই নামটা হল, “নাম-করা ব্যাবিলন, বেশ্যাদের এবং দুনিয়ার সব জঘন্য জিনিসের মা।”
6 আমি দেখলাম, সেই স্ত্রীলোকটা আল্লাহ্র বান্দাদের রক্ত এবং যারা ঈসার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে।
7 আমি তাকে দেখে খুব আশ্চর্য হলাম। তখন সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য হচ্ছ কেন? স্ত্রীলোকটার এবং যে জন্তুটা তাকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে সেই জন্তুটার গোপন অর্থ তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এ সেই জন্তু যার সাতটা মাথা আর দশটা শিং ছিল।
8 যে জন্তুটাকে তুমি দেখেছিলে সে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই। পরে সে হাবিয়া-দোজখ থেকে উঠে এসে অনন্তকাল ধরে শাস্তি ভোগ করবে। তখন যারা এই দুনিয়ার, অর্থাৎ দুনিয়া সৃষ্টির সময় থেকে যাদের নাম জীবন্তকিতাবে লেখা নেই তারা সেই জন্তুটাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যাবে; কারণ জন্তুটা আগে ছিল, এখন নেই, অথচ আবার দেখা দেবে।
9 “এখন যা বলা হবে তা বুঝবার জন্য বুদ্ধির দরকার। সেই সাতটা মাথা হল সাতটা পাহাড় যার উপর স্ত্রীলোকটা বসে আছে। সেই সাতটা মাথা আবার সাতজন বাদশাহ্ও বটে।
10 সেই বাদশাহ্দের মধ্যে পাঁচজন আগেই শেষ হয়ে গেছে, একজন এখনও আছে আর অন্যজন এখনও আসে নি। সেই বাদশাহ্ আসবার পর তাকে কিছুকাল থাকতেই হবে।