1 “সার্দি শহরের জামাতের ফেরেশতার কাছে এই কথা লেখ-আল্লাহ্র সাতটি রূহ্ এবং সাতটি তারা যিনি ধরে আছেন তিনি এই কথা বলছেন: আমি তোমার কাজের কথা জানি। জীবিত আছ বলে তোমার বেশ সুনাম আছে, কিন্তু আসলে তুমি মৃত।
2 তুমি জেগে ওঠো এবং বাদবাকী যা মরবার মত হয়েছে তা শক্তিশালী করে তোল, কারণ আমার আল্লাহ্র সামনে তোমার কোন কাজই আমি শেষ হতে দেখি নি।
3 এইজন্য যা তুমি পেয়েছ এবং শুনেছ তা মনে কর ও পালন কর, আর এই অবস্থা থেকে মন ফিরাও। যদি তুমি জেগে না ওঠো তবে আমি চোরের মত আসব, আর আমি কোন্ সময় তোমার কাছে আসব তা তুমি জানতেও পারবে না।
4 কিন্তু সার্দিতে তোমার এমন কয়েকজন লোক আছে যারা তাদের কাপড়-চোপড়, অর্থাৎ চালচলন নোংরা করে নি। তারা যোগ্য বান্দা বলেই সাদা পোশাক পরে আমার সংগে চলাফেরা করবে।
5 যে জয়ী হবে সে এই রকম সাদা পোশাক পরবে। জীবন্তকিতাব থেকে তার নাম আমি কখনও মুছে ফেলব না, বরং আমার পিতা ও তাঁর ফেরেশতাদের সামনে আমি তাকে স্বীকার করে নেব।
6 যার শুনবার কান আছে সে শুনুক, পাক-রূহ্ জামাতগুলোকে কি বলছেন।
7 “ফিলাদেলফিয়া শহরের জামাতের ফেরেশতার কাছে এই কথা লেখ-যিনি পবিত্র ও সত্য, যাঁর কাছে দাউদের চাবি আছে, যিনি খুললে কেউ বন্ধ করতে পারে না এবং বন্ধ করলে কেউ খুলতে পারে না,
8 তিনি এই কথা বলছেন: আমি তোমার কাজের কথা জানি। দেখ, আমি তোমার সামনে একটা খোলা দরজা রাখলাম যা বন্ধ করবার ক্ষমতা কারও নেই। আমি জানি তোমার শক্তি খুবই কম, কিন্তু তবুও তুমি আমার কালাম পালন করেছ এবং আমাকে অস্বীকার কর নি।
9 যারা নিজেদের ইহুদী বলে অথচ ইহুদী নয়, শয়তানের দলের সেই মিথ্যাবাদী লোকদের আমি তোমার কাছে আনাব এবং তোমার পায়ে কদমবুসি করাব, আর তাদের জানিয়ে দেব যে, আমি তোমাকে মহব্বত করি।
10 ধৈর্য ধরবার যে হুকুম আমি দিয়েছিলাম তা তুমি পালন করেছ; সেইজন্য এই দুনিয়ার উপরে যে কষ্টের সময় আসছে সেই সময় থেকে আমি তোমাকে রক্ষা করব। যারা এই দুনিয়ার তাদের পরীক্ষা করবার জন্য এই কষ্টের সময় আসবে।
11 আমি শীঘ্রই আসছি। তোমার যা আছে তা শক্ত করে ধরে রাখ, যেন কেউ তোমার জয়ের পুরস্কার কেড়ে না নেয়।
12 যে জয়ী হবে তাকে আমি আমার আল্লাহ্র ঘরের একটা থাম করব; সে আর কখনও বাইরে যাবে না। আমি তার উপরে আমার আল্লাহ্র নাম এবং আমার আল্লাহ্র শহরের নাম লিখব। নতুন জেরুজালেমই সেই শহর। বেহেশতের মধ্য থেকে আমার আল্লাহ্র কাছ থেকে এই শহর নেমে আসবে। যে জয়ী হবে আমি তার উপর আমার নতুন নামও লিখব।
13 যার শুনবার কান আছে সে শুনুক, পাক-রূহ্ জামাতগুলোকে কি বলছেন।
14 “লায়দিকেয়া শহরের জামাতের ফেরেশতার কাছে এই কথা লেখ-যিনি আমিন, যিনি বিশ্বস্ত ও সত্য সাক্ষী, যিনি আল্লাহ্র সৃষ্টির মূল, তিনি এই কথা বলছেন: আমি তোমার কাজের কথা জানি।
15 তুমি ঠাণ্ডাও না, গরমও না। তুমি হয় ঠাণ্ডা না হয় গরম হলে ভাল হত।
16 কিন্তু তুমি না ঠাণ্ডা না গরম, সেইজন্য আমি তোমাকে আমার মুখ থেকে থুথুর মত করে ফেলে দেব।
17 তুমি বলছ, ‘আমি ধনী; আমি বড় লোক হয়েছি, তাই আমার কোন কিছুর অভাব নেই।’ খুব ভাল, কিন্তু তুমি তো জান না যে, তুমি দুঃখী, দয়ার পাত্র, গরীব, অন্ধ ও উলংগ।
18 তাই আমি তোমাকে এই উপদেশ দিচ্ছি- তুমি আমার কাছ থেকে আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা সোনা কিনে নাও যেন তুমি ধনী হতে পার। আমার কাছ থেকে সাদা পোশাক কিনে পর যেন তোমার উলংগতার লজ্জা দেখা না যায়। আমার কাছ থেকে চোখে দেবার মলম কিনে নাও যেন তুমি দেখতে পাও।
19 আমি যাদের মহব্বত করি তাদেরই দোষ দেখিয়ে দিই ও শাসন করি। সেইজন্য এই অবস্থা থেকে মন ফিরাতে আগ্রহী হও।
20 দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আঘাত করছি। কেউ যদি আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয় তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব এবং তার সংগে খাওয়া-দাওয়া করব, আর সে-ও আমার সংগে খাওয়া-দাওয়া করবে।
21 “আমি জয়ী হয়ে যেমন আমার পিতার সংগে তাঁর সিংহাসনে বসেছি, ঠিক তেমনি যে জয়ী হবে তাকে আমি আমার সংগে আমার সিংহাসনে বসবার অধিকার দেব।
22 যার শুনবার কান আছে সে শুনক, পাক-রূহ্ জামাতগুলোকে কি বলছেন।”