7 বাদশাহ্ জারেক্সেসের রাজত্বের বারো বছরের প্রথম মাসে, অর্থাৎ নীষণ মাসে একটা দিন ও মাস বেছে নেবার জন্য লোকেরা হামানের সামনে পূর, অর্থাৎ গুলিবাঁট করতে লাগল। তাতে বারো মাসের, অর্থাৎ অদর মাসের বেলায় গুলিবাঁটে উঠল।
8 হামান তখন বাদশাহ্ জারেক্সেসকে বলল, “আপনার রাজ্যের সমস্ত বিভাগের বিভিন্ন জাতির মধ্যে একটা জাতি ছড়িয়ে রয়েছে। অন্য সব জাতি থেকে তাদের নিয়ম-কানুন আলাদা এবং তারা বাদশাহ্র আইন মানে না। কাজেই তাদের বাঁচতে দেওয়া বাদশাহ্র পক্ষে ভাল হবে না।
9 বাদশাহ্র যদি ভাল মনে হয় তবে তাদের ধ্বংস করে ফেলবার জন্য একটা হুকুম জারি করা হোক। তাতে রাজ-ভাণ্ডারে রাখবার জন্য বাদশাহ্র কাজ পরিচালনাকারীদের হাতে আমি তিনশো নব্বই টন রূপা দেব।”
10 বাদশাহ্ তখন নিজের আংগুল থেকে স্বাক্ষর দেবার আংটি খুলে নিয়ে ইহুদীদের শত্রু অগাগীয় হম্মদাথার ছেলে হামানকে দিলেন।
11 বাদশাহ্ হামানকে বললেন, “টাকাও তোমার আর লোকেরাও তোমার; কাজেই সেই টাকা ও লোকদের নিয়ে তোমার যা ভাল মনে হয় তা-ই কর।”
12 তারপর প্রথম মাসের তেরো দিনের দিন বাদশাহ্র লেখকদের ডাকা হল। তারা প্রত্যেকটি বিভাগের অক্ষর ও প্রত্যেকটি জাতির ভাষা অনুসারে হামানের সমস্ত হুকুম বিভিন্ন প্রদেশের ও বিভাগের শাসনকর্তাদের এবং বিভিন্ন জাতির নেতাদের কাছে লিখে জানাল। সেগুলো বাদশাহ্ জারেক্সেসের নামে লেখা হল এবং বাদশাহ্র নিজের আংটি দিয়ে সীলমোহর করা হল।
13 বাদশাহ্র সমস্ত বিভাগগুলোতে সংবাদ বাহকদের দিয়ে চিঠি পাঠানো হল। সেই চিঠিতে হুকুম দেওয়া হল যেন অদর নামে বারো মাসের তেরো দিনের দিন ইহুদীদের সমস্ত ছেলে-বুড়ো-শিশু-স্ত্রীলোককে, অর্থাৎ সবাইকে ধ্বংস করা হয়, অর্থাৎ হত্যা করা হয়, অর্থাৎ একেবারে শেষ করে দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের জিনিসপত্র যেন লুট করা হয়।