12 তার গুনাহের ফলে সেই তারাগুলো ও প্রতিদিনের কোরবানী তার হাতে গিয়ে পড়ল। সে সত্যকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলল এবং যা কিছু করল তাতেই সফল হল।
13 তারপর আমি একজন পবিত্র ফেরেশতাকে কথা বলতে শুনলাম এবং আর একজন পবিত্র ফেরেশতা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই দর্শনে যা দেখানো হল তা কত দিন ধরে চলবে? কত দিন ধরে প্রতিদিনের কোরবানীর বদলে সর্বনাশা গুনাহের জিনিস থাকবে? কত দিন ধরে বায়তুল-মোকাদ্দস ও তারাগুলোকে পায়ে মাড়ানো হবে?”
14 তিনি বললেন, “দুই হাজার তিনশো সন্ধ্যা ও সকাল ধরে এই সব চলবে। তারপর বায়তুল-মোকাদ্দস আবার পাক-সাফ করা হবে।”
15 আমি দানিয়াল যখন দর্শনটা দেখে বুঝবার চেষ্টা করছিলাম তখন মানুষের মত দেখতে একজন আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
16 আমি একজন মানুষের স্বর শুনলাম; সেই স্বর ঊলয় খালের মধ্য থেকে ডেকে বলল, “জিবরাইল, এই দর্শনের অর্থ এই লোকটিকে বুঝিয়ে দাও।”
17 আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তিনি সেই জায়গার কাছে আসলে পর আমি ভয় পেয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন, “হে মানুষের সন্তান, এই দর্শনটা যে কেয়ামতের বিষয়ে তা তুমি বুঝে নাও।”
18 তিনি যখন আমার সংগে কথা বলছিলেন তখন আমি উবুড় অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলাম। তিনি আমাকে ছুঁয়ে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন।