5 এতে সারী ইব্রামকে বললেন, “আমার প্রতি তার এই অন্যায়ের জন্য আসলে তুমিই দায়ী। আমার এই বাঁদীকে আমি তোমার বিছানায় তুলে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন গর্ভবতী হয়েছে জেনে সে আমাকে তুচ্ছ করতে শুরু করেছে। তাহলে তোমার ও আমার মধ্যে কে দোষী তা এখন মাবুদই বিচার করুন।”
6 জবাবে ইব্রাম সারীকে বললেন, “দেখ, তোমার বাঁদী তো তোমার হাতেই আছে। তোমার যা ভাল মনে হয় তার প্রতি তুমি তা-ই কর।” তখন সারী হাজেরার প্রতি এমন নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে লাগলেন যে, হাজেরা তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7 পথে মরুভূমির মধ্যে একটা পানির ঝর্ণার কাছে মাবুদের ফেরেশতা হাজেরাকে দেখতে পেলেন। ঝর্ণাটা ছিল শূর নামে একটা জায়গায় যাবার পথে।
8 ফেরেশতা বললেন, “সারীর বাঁদী হাজেরা, তুমি কোথা থেকে আসছ আর কোথায়ই বা যাচ্ছ?”জবাবে হাজেরা বলল, “আমি আমার বেগম সাহেবা সারীর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি।”
9 তখন মাবুদের ফেরেশতা বললেন, “তোমার বেগম সাহেবার কাছে ফিরে গিয়ে আবার তার অধীনতা স্বীকার করে নাও।”
10 তিনি তাকে আরও বললেন, “আমি তোমার বংশের লোকদের সংখ্যা এমন বাড়িয়ে তুলব যে, তাদের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না।”
11 তিনি তাকে আরও বললেন, “দেখ, তুমি গর্ভবতী। তোমার একটি ছেলে হবে। আর সেই ছেলেটির নাম তুমি ইসমাইল (যার মানে ‘আল্লাহ্ শোনেন’) রাখবে, কারণ তোমার দুঃখের কান্নায় মাবুদ কান দিয়েছেন।