17 এই কথা শুনে ইব্রাহিম মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন এবং হেসে মনে মনে বললেন, “তাহলে সত্যিই একশো বছরের বুড়োর সন্তান হবে, আর তা হবে নব্বই বছরের স্ত্রীর গর্ভে!”
18 পরে ইব্রাহিম আল্লাহ্কে বললেন, “আহা, ইসমাইলই যেন তোমার রহমতে বেঁচে থাকে!”
19 তখন আল্লাহ্ বললেন, “তোমার স্ত্রী সারার সত্যিই ছেলে হবে, আর তুমি তার নাম রাখবে ইসহাক (যার মানে ‘হাসা’)। তার ও তার বংশের লোকদের জন্য আমি আমার চিরকালের ব্যবস্থা চালু রাখব। তবে ইসমাইল সম্বন্ধে তুমি যা বললে তা আমি শুনলাম।
20 শোন, আমি তাকেও দোয়া করব এবং অনেক সন্তান দিয়ে তার বংশের লোকদের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেব। সে-ও বারোজন গোষ্ঠী-নেতার আদিপিতা হবে এবং তার মধ্য থেকে আমি একটা মহাজাতি গড়ে তুলব।
21 কিন্তু ইসহাকের জন্যই আমি আমার ব্যবস্থা চালু রাখব। সামনের বছর এই সময়ে সে সারার কোলে আসবে।”
22 ইব্রাহিমের সংগে কথা বলা শেষ করে আল্লাহ্ তাঁর কাছ থেকে উপরের দিকে উঠে গেলেন।
23 আল্লাহ্র কথামত ইব্রাহিম সেই দিনই ইসমাইলের খৎনা করালেন। সেই সংগে তিনি তাঁর কেনা কিংবা ঘরে জন্মেছে এমন সব গোলামের, অর্থাৎ তাঁর বাড়ীর প্রত্যেকটি পুরুষের খৎনা করালেন।