28 তিনি নীচে সাদুম, আমুরা এবং সমস্ত সমভূমিটার দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, প্রকাণ্ড চুলা থেকে যেমন ধোঁয়া ওঠে তেমনি সেই সব এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠছে।
29 এইভাবে লুত যেখানে বাস করতেন আল্লাহ্ সেই সমভূমির শহরগুলো ধ্বংস করবার সময় ইব্রাহিমের কথা ভেবে লুতকে ঐখানকার বিপদের মাঝখান থেকে সরিয়ে এনেছিলেন।
30 সোয়রে থাকতে সাহস হল না বলে লুত তাঁর মেয়ে দু’টিকে নিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে পাহাড়ী এলাকায় চলে গেলেন। সেখানে একটা গুহায় তাঁরা থাকতে লাগলেন।
31 পরে একদিন বড় মেয়েটি ছোট মেয়েটিকে বলল, “বাবা তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। এই এলাকায় এমন কোন পুরুষ লোক নেই যিনি এসে দুনিয়ার নিয়ম মত আমাদের বিয়ে করতে পারেন।
32 চল, আমরা আমাদের বাবাকে আংগুর-রস খাইয়ে মাতাল করে তাঁর কাছে যাই। তাতে বাবার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বংশ রক্ষা করতে পারব।”
33 সেই কথামত সেই দিন রাতের বেলা তারা তাদের পিতাকে আংগুর-রস খাইয়ে মাতাল করল। তারপর বড় মেয়েটি তার পিতার সংগে শুতে গেল, কিন্তু কখন সে শুলো আর কখনই বা উঠে গেল লুত তা টেরও পেলেন না।
34 পরের দিন বড়টি ছোটটিকে বলল, “দেখ, কাল রাতে আমি বাবার সংগে শুয়েছিলাম। চল, আজ রাতেও তাঁকে তেমনি করে মাতাল করি, তারপর তুমি গিয়ে তাঁর সংগে শোবে। তাহলে বাবার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বংশ রক্ষা করতে পারব।”