29-30 পরে রূবেণ সেই গর্তের কাছে গিয়ে ইউসুফকে দেখতে না পেয়ে দুঃখে তার কাপড় ছিঁড়ে ভাইদের কাছে গিয়ে বলল, “ইউসুফ তো ওখানে নেই। আমি এখন কি করি?”
31 তারা তখন একটা ছাগল কেটে তার রক্তে ইউসুফের সেই কোর্তাটা ডুবাল।
32 পরে তারা সেটা তাদের পিতার কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, “আমরা এটা কুড়িয়ে পেয়েছি। তুমি ভাল করে দেখ, কোর্তাটা তোমার ছেলের কি না।”
33 ইয়াকুব কোর্তাটা চিনতে পেরে বললেন, “এই কোর্তাটা আমার ছেলেরই। তাকে কোন বুনো জানোয়ারে খেয়ে ফেলেছে। জানোয়ারটা যে তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।”
34 ইয়াকুব তাঁর কাপড় ছিঁড়ে কোমরে ছালার চট জড়িয়ে তাঁর ছেলের জন্য অনেক দিন পর্যন্ত শোক করলেন।
35 তাঁর অন্য সব ছেলেমেয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করল, কিন্তু কোন সান্ত্বনার কথাই তিনি শুনলেন না। তিনি বললেন, “শোক করতে করতেই আমি কবরে আমার ছেলের কাছে যাব।” এইভাবে ইয়াকুব ইউসুফের জন্য কাঁদতে লাগলেন।
36 এদিকে মাদিয়ানীয়রা ইউসুফকে মিসরে নিয়ে গিয়ে পোটীফরের কাছে বিক্রি করে দিল। পোটীফর ছিলেন ফেরাউনের একজন কর্মচারী, তাঁর রক্ষীদলের প্রধান।